সাইফুর রহমান শামীম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি।
কুড়িগ্রামে মঙ্গলবার স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,ধরলা,তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদনদীর পানি আবার বাড়ছে।তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,মঙ্গলবার দুপুর তিনটের দিকে ধরলা নদীর পানি সকাল থেকে ১২সেন্টিমিটার বেড়েছে। তবে কয়েকদিন যাবত তলিয়ে থাকা চর ও দ্বীপচরের শাকসবজি ও পাটখেতসহ বিভিন্ন ফসলগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণে ও উজানের ঢলে জেলার নদী তীরবতর্ী প্রায় অর্ধশতাধিক চরে ও দ্বীপচরে পানি উঠে।অনেকের ঘরে পানি উঠায় তার উঁচু জায়গায় আশ্রয় নেন।ওইসব এলাকায় রাস্তা ঘাট ও গ্রামীণ সড়কগুলোর কয়েক জায়গায় ভেঙে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে,পানি কমা বাড়ার কারনে জেলার বিভিন্ন এলাকা জুড়ে নদী ভাঙন চলছে।জেলা সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে ধরলার ভাঙ্গনে ৪৭ টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন ,ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমোর নদের ভাঙ্গনের হুমকিতে ৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১ টি হাইস্কুলসহ ৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও ধরলার উজানে সদরের সারডোব,তিস্তার রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙা এলাকায়ও ভাঙছে নদী।রাজারহাটে তিস্তার ভাঙন চলছে ঘড়িয়ালডাঙায় চর খিতাব খাঁ ও গতিয়াশ্যামে। এসব এলাকায় গত এক সপ্তাহে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি চলে গেছে নদীগর্ভে।অনেকে উঁচু বাঁধ কিংবা খোলা আকাশে আশ্রয় নিয়ে আছেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন,বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার মানুষের জন্য জিআর চাল ৩৭৫ মে.টন ও নগদ টাকা দেয়া হয়েছে তা ইউএনওরা প্রদান করছেন।