দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

ডাক্তার-নার্সসহ জনবল সংকটে কুড়িগ্রামের রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

0

সাইফুর রহমান শামীম,কুড়িগ্রাম :

ডাক্তার নার্সসহ জনবল সংকটে ব্যাহত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। দীর্ঘদিন ধরে ঐ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকল অফিসার, এক্সরে-টেকনিশিয়ান, এনস্সিয়া এক্সর্পাট, ল্যাব টেকনিশিয়ান, এম্বুলেন্সের ড্রাইভার, প্যারামেডিকল ডাক্তার, নার্স ও ওর্য়াড বয়, নৈশ প্রহরীর পদ শুন্য রয়েছে। এছাড়াও করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের জন্য আলাদা কেবিন, পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় ওষুধও না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয় রোগীরা জানান, এখানে চিকিৎসা নিতে আসলে শুধু নাই আর নাই শব্দ ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটি টাকার উন্নতমানের এক্সরে মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, একই অবস্থায় অপারেশন থিয়েটারের। গাইনী ডাক্তার ও এনস্সিয়া এক্সপোর্ট না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি । বর্হিবিভাগে প্রতিদিন রোগী দেখেন চারজন ডাক্তার। প্রতিদিনই থাকে রোগীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে সামাজিক দুরত্বের কোন বালাই নেই।

চিকিৎসা নিতে আসা রৌমারী উপজেলার ইজলামারী গ্রামের শাহিন আহম্মেদ জানান, দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে যদিও ডাক্তারের দেখা পেলাম কিন্তু ঔষুধ যা লিখেছন তা বাইরে থেকে কিনতে হবে। হাসপাতালে নাই।

উপজেলার বেদবড় ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের এক্সরে টেকনিশিয়ান না থাকায় বাইরে থেকে এক্সরে করতে হচ্ছে।

রৌমারী হাসপাতালের সিনিয়র অফিস সহকারি আব্দুস সাত্তার জানান, দীর্ঘদিন থেকে রৌমারী হাসপাতালের ডাক্তারসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর ৬২ টি পদ ফঁাকা রয়েছে। এর মধ্যে ডাক্তার ২৪ জনের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন, ডেন্টাল সার্জন নাই, কনসালটেট ৫ জনের জায়গায় একজনও নাই। নার্স ২০ জনের জায়গায় আছে ৮ জন। অপারেশন থিয়টারের এনস্সিয়া এক্সপোট নাই, ল্যাব টেকনশিয়ান নাই, এক্সরে টেকনিশিয়ান নাই, এছাড়াও তুতীয় শ্রোণীর কর্মচারী পদে ফাকা রয়েছে ১৭ টি, চতুর্থ শ্রেণীর ১৩ টি, নৈশ প্রহরী একজনও নাই।

রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্ল্যাহ বলেন, জেলা শহর হতে ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিছিন উপজেলা রৌমারী। এ উপজেলার প্রায় ৩ লাখ মানুষের একমাত্র চিকিৎসা কেন্দ্র রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্। জনবল সংকট এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নিজেই রুগ্ন হয়ে আছে। তিনি আরও বলেন, গাইনী ডাক্তার না থাকায় প্রসূতি মায়েদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

জনবল সংকটের কথা স্বীকার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, জনবল সংকট নিরসনের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানিয়ৈছি। সরকারি লোক নিয়ে আসা কঠিন হলেও আশা করি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, হাসপাতালটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করণের ঘোষনা হলেও এখন পর্যন্ত ৫০ শয্যার চাহিদা অনুযায়ী কোন বরাদ্দ পাইনি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.