সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
মজুত শেষ হওয়ায় বান্দরবানে কোভিড-১৯ এর টিকাদানের কাজ বন্ধ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে কিছু মানুষ টিকা পেয়েছেন বান্দরবান সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে। তবে মজুত শেষ হওয়ায় অনেকেই ফিরে এসেছেন টিকা না পেয়ে। টিকার সরবরাহ শুরু হলে আবার বান্দরবানে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।
সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রগুলোতে ভ্যাকসিন প্রদানের ক্যাম্পেইনে অনেকেই টিকা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। টিকা না পাওয়া লোকজন অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট সংখ্যক টিকা প্রদান করায় সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত টিকা নিতে পারেননি। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলে তাদেরকে লাইনে দাঁড় করানো কেন হলো-এমন প্রশ্নও করেন তারা।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বান্দরবানে ২য় পর্যায়ে সিনোফার্মার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে এবং ১৮হাজার ২জন প্রথম ডোজ এবং ২য় ডোজ নিয়েছে ১৬ হাজার ৪৩৬ জন।
মঙ্গলবার সকালে সদর হাসপাতালে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, শ’খানেক নারী-পুরুষ টিকা নিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। অনেকেরই হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র। এদের বেশিরভাগই ছিলেন বয়স্ক। রেজিস্ট্রেশন না থাকায় অনেকেই টিকা না দিয়ে ফিরে আসেন। তবে অনেক কেন্দ্রে আবার লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী লোক লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে নিবন্ধন ছাড়া কেন্দ্রে আগতদের আর লাইনে দাঁড়াতে হয়নি।
টিকা না দিয়ে ফিরে আসা পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল রহমানকে বলেন, লাইনে এক ঘণ্টা দাঁড়ানোর পর জানানো হলো টিকা শেষ, পরে টিকা নিতে আসতে বললো। এটা তাদের ঠিক হয়নি।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডাঃ অং সুই প্রু মারমা জানিয়েছেন, জেলায় ৩ দিন গণটিকা কার্যক্রমে প্রতিটি কেন্দ্রে তিনশ’ জন করে ২১ হাজার জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উপস্থিতির সংখ্যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হওয়ায় অনেকেই লাইনে দাড়িয়ে বা কেন্দ্রে গিয়েও টিকা দিতে পারেন নি।
তিনি আরও জানান, আজ ১০ আগষ্ট আরো টিকা আসার কথা রয়েছে, আসলে বিভিন্ন কেন্দ্র পাঠিয়ে জনসাধারণকে টিকা প্রয়োগ করতে পারবো।