স্টাফ রিপোটার :
জামালপুরের সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ৭০ হাজার ও সরিষাবাড়ী বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ (বিউবো) এর অধীন প্রায় ২৪ হাজার সহ প্রায় এক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ এর চাহিদানুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের ফলে ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কাহিল প্রায় বলে অভিযোগ ওঠেছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে,সরিষাবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের আওতাধীন ৭০ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহকের চাহিদা প্রায় ১৭ থেকে ১৬ মেঘাওয়াট। এর স্থলে ৭ থেকে ৮ মেঘাওয়াট পিক আওয়ারে সরবরাহ পাওয়া যায়। পক্ষান্তরে দিনে ও রাত্রিকালনি থেকে বিদ্যুৎ এর চাহিদানুযায়ী সরবরাহ না থাকায় ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের ফলে তিব্র তাপদাহে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা কাহিল প্রায় বলে অভিযোগ তুলেছেন। এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সরিষাবাড়ী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহা: শিফাজ উদ্দিন জানান বিদ্যুৎ এর চাহিদার অর্ধেক সরবরাহ পাওয়ায় আমরা গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পারছিনা। এটি তাড়াতাড়ি উত্তোরন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ দিকে সরিষাবাড়ী বিক্রয় ও বিতরন বিভাগ (বিউবো) এর অধীন প্রায় ২৪ হাজার বিভিন্ন বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এতে পিক আওয়ারে জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহকৃত ৪ মেঘাওয়াট এবং এনগ্রীন সরিষাবাড়ী সোলার প্লান্ট লিমিটেড় এর উৎপাদিত ২দশমিক ৫০ মেঘাওয়াট গড় বিদ্যুৎ দিয়ে জনবল সংকটের মধ্যেও গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ দেয়া হচ্ছে বলে সরিষাবাড়ী বিউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আবু-বক্কর তালুকদার জানিয়েছেন ।
তিনি আরও জানান পিক আওয়ারে গ্রাহকদের চাহিদা পুরণ করা গেলেও গত কয়েকদিন যাবৎ রাত্রীকালীন জাতীয় গ্রিড থেকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহকৃত ২/৩ মেঘাওয়াট কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় রাত্রিকালীন গ্রাহকদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এটি সিমীত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুতের ঘাটতি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলেও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
বিদ্যুৎ গ্রাহক তৌকির আহমেদ হাসু ও সোহেল রানা ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, দীর্ঘদিন পর সরকার লকডাউন তুলে নেওয়ায় সরিষাবাড়ী পৌরসভার প্রান কেন্দ্রে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও প্রতিদিন ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। প্রচন্ড- দাবদাহে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা খোলা রাখতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। বিদ্যুৎ না থাকলে ক্রেতারা মার্কেটে গিয়ে অস্থির হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এ ছাড়াও বাসা-বাড়িতেও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে উচ্চ রক্তচাপের লোকজন নারী-শিশু শিক্ষার্থীরা যন্ত্রণা ভোগ করছেন। বিদ্যুৎ এর এ অবস্থায় বিভিন্ন পেশা-জিবী মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।