দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে: প্রধানমন্ত্রী

0

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‌বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। সব ধর্মের মানুষ তার ধর্ম পালন করবে স্বাধীনভাবে। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, দেশে ধর্ম নিয়ে কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে। আজ মঙ্গলবার (১৯ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ছোট ভাই শেখ রাসেলে ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নবী কারিম (সা.) বলেছেন- ‘ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করো না’। আমরাও চাই, কেউ যেন ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে। সব মানুষ যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ভৌগোলিক সীমারেখায় ছোট হলেও জনসংখ্যা অনেক। সেই দেশেই আমি চাই, প্রত্যেকটা মানুষের জীবন যেন সুন্দর হয়, উন্নত হয়। প্রত্যেকটা মানুষ যেন তার অন্ন-বস্ত্র ও উন্নত জীবন পায়। এটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। সেটা যেন পূরণ করতে পারি, এটাই আমাদের লক্ষ্য। সভায় শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাসেল ছোটবেলা থেকে সহজ-সরল ছিল। তার কোনো দাবি ছিল না। তার স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সেনা অফিসার হবে। সে কারণে ছোটবেলা থেকেই টুঙ্গিপাড়ায় শিশুদের নিয়ে প্যারেড করতো। আজ রাসেল নেই। কিন্তু এ দেশের হাজার হাজার শিশু যেন নিরাপত্তা পায়। তারা যেন সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। মানুষের মতো মানুষ হতে পারে। তারা যেন দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়। সুকান্তের ভাষায় বলি, ‘এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করে যাবো আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার অঙ্গীকার’।

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের সময়ে কীভাবে সেনাবাহিনী সুশৃঙ্খল ছিল- সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘৭৫ থেকে ‘৮১-এর মধ্যে ১৯টা ক্যু হয়েছিল। সেই সময়ের সেনাবাহিনী ডিসিপ্লিন দাবি করে কীভাবে? জিয়াউর রহমান শুধু জাতির পিতাকেই হত্যা করেনি, হাজার হাজার সেনা সদস্যকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বিরোধি দলে থাকার সময় তার অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার হয়েছে মানুষজন। বাবা দেখেছে তার চোখের সামনে কিভাবে জ্যান্ত সন্তান আগুনে পুড়ে মারা যাচ্ছে। সে রকম নিষ্ঠুর ঘটনাওতো দেশে ঘটেছে এবং এটাই হচ্ছে সবথেকে দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এইটুকুই চাইব এখানে মানবতার প্রশ্ন যারা তোলে তারা যেন এই ঘটনাগুলো ভাল ভাবে দেখে যে, বাংলাদেশে কি ঘটতো। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর আমাদের প্রচেষ্টা কোন শিশু রাস্তায় ঘুরে বেড়াবে না টোকাই থাকবেনা। তাদের যেন একটা ঠিকানা থাকে তারা যেন একটু ভালভাবে বসবাস করতে পারে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.