২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্সের সারমর্ম। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হতাশার বিশ্বকাপের শেষটা হয়েছে আরও চরম বিপর্যয়ে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশের এই হতশ্রী পারফরম্যান্সে হতাশ না হয়ে উপায় নেই। তবে এমন বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পরও সব সময়ের মতো খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। টাইগারদের কিংবদন্তি এ অধিনায়ক নিজের ফেসবুকে এক দীর্ঘ পোস্টে নিজের শঙ্কার কথা জানান।
শুক্রবার সকালে করা পোস্টে মাশরাফি লেখেন, ‘আগের অভিজ্ঞতা থেকে এবারও বলে দেওয়া যায়, এখন সামনে কী হবে। হয়তো কাউকে বাদ দেওয়া হবে, কারও ওপর অদৃশ্য রাগ ঝাড়া হবে। রিয়াদকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করা হবে। ‘সমর্থকরা যে ক্রিকেটারকে পছন্দ করছে না, তার ওপর ঝাল মিটিয়ে সমর্থকদের শান্ত করা হবে। সাংবাদিক ভাইদের নানা কিছু বোঝানোর চেষ্টা করা হবে।’ ২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও তার পরের বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে। এই দুই টুর্নামেন্টের জন্য দল গোছানোর দোহাই দিয়ে কাটা-ছেঁড়া করা হতে পারে, এমন ধারণা মাশরাফির। তিনি লেখেন, “সামনে আরেকটি বিশ্বকাপের দোহাই দিয়ে ক্রিকেটারদের ক্ষতি না করে প্রক্রিয়াটা ঠিক করুন। দেখবেন, তখন দল আপনা-আপনি ভালো খেলবে। দলকে সামনের দিকে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আপনাদের। তাই দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলা বা কাজ আমরা আশা করি।
“সবচেয়ে বড় শঙ্কা আমি যা দেখছি, ক্রিকেটারদের বলির পাঁঠা বানিয়ে সবাইকে দেখিয়ে দেওয়া হবে যে, ‘আমরা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা সামনের বিশ্বকাপে বড় ভূমিকা রাখবে’।” তবে ক্রিকেটারদের ক্ষতি না করে সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের আহ্বান জানান বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক। তিনি যোগ করেন, “ক্রিকেটার তৈরি ও গড়ে তুলতে আধুনিক ক্রিকেটে প্রক্রিয়াগুলো দেখুন এবং সেগুলো দেশের ক্রিকেটে অ্যাপ্লাই করুন। তাদের যত্ন করুন, হয়তো তারা সামনের পথচলায় আমাদের দারুণ সব মুহূর্ত উপহার দেবে। “দয়া করে এই কথা বলবেন না যে, ‘২০২২ বা ২০২৩ বিশ্বকাপে এদের দিয়ে হবে না, তাই সব নতুন সুযোগ দিতে হবে।’ নতুনদের সুযোগ অবশ্যই দিতে হবে, তবে তাদের তৈরি করে।”