দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

জামালপুর সদরে ১১ইউপিতে নৌকা ও ৪ ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর জয়

0

সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেল ॥
জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার প্রার্থীরা জয়ী হয়। বাকী ১০ টি ইউনিয়নে নির্বাচনে নৌকার ৬জন ও স্বতন্ত্র ৪ জন প্রার্থী জয়ী হয়।
সবমিলিয়ে গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীগণ নির্বাচিত হয়েছেন আর ৪টি ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীগণ জয়লাভ করেছেন।
তন্মধ্যে ১নং কেন্দুয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ সাইফুল ইসলাম খান সোহেল আনারস প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ১শ ৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মাহাবুবুর রহমান মঞ্জু (নৌকা) পেয়েছেন ৪ হাজার ৮শ ৮৫ ভোট।
২নং শরীফপুর ইউনিয়নে মোঃ রফিকুল ইসলাম আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৬ হাজার ৯শ ১৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ রফিকুল ইসলাম লিটন অটো-রিক্সা প্রতীকে পেয়েছেন ৪ হাজার ২শ ৬৩ ভোট। ৩নং লক্ষ্মীরচর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মনিরুজ্জামান মনি আনারস প্রতিক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন ৫ হাজার ৬শ ২৫ ভোট পেয়ে। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আফজাল হোসেন বিদ্যুৎ (নৌকা)পেয়েছেন ৪ হাজার ৮শ ৯৮ ভোট।
৪নং তুলশিরচর ইউনিয়নে মোঃ শহিদুল্লাহ নৌকা প্রতীক নিয়ে ৯ হাজার ৭৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মমিনুল হক আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৫শ ৪ ভোট।
৬নং নরুন্দি ইউনিয়নে মোঃ লুৎফর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৯ হাজার ৩শ ২১ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ আলাউদ্দিন খান আলম মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ১শ ৩ ভোট।
৭নং ঘোড়াধাপ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম কিবরিয়া ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৬ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি জিয়াউর রহমান তালুকদার আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৬শ ৯১ ভোট।
১০নং শ্রীপুর ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আজিজুল হক নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ৭শ ৮০ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোহাম্মদ রফিক উল আলম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ৬শ ৬০ ভোট।
১১নং শাহবাজপুর ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী মোঃ আয়ুব আলী খান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ৯শ ৩৭ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯ হাজার ২শ ৪৬ ভোট।
১২নং তিতপল্যা ইউনিয়নের বিজয়ী প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আজিজুর রহমান নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ২শ ১৭ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী হারুনুর রশীদ আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৮ হাজার ৪শ ৪৭ ভোট।
১৩নং মেষ্টা ইউনিয়নে বিজয়ী প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ নাজমুল হক বাবু আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৩শ ৯৩ ভোট। তার নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ এমদাদুল ইসলাম খান অংকন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৯শ ৮৮ ভোট।
২য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ৭ শ ৫৫ জন। যার মধ্যে ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭ শ ৫৪ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ৪ হজার ১ জন নারী । ১শ ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ৪৫টি। ১শ ৬৩ টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটকক্ষের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১২টি। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০টি ইউনিয়নে ৪০জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অংশগ্রহন করেন। বাকী ৫টি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের ইউনিয়নগুলো হলো- রানাগাছা, দিগপাইত, ইটাইল, রশিদপুর ও বাঁশচড়া ইউনিয়ন।
এ ছাড়া সাধারণ সদস্য পদে ৫শ ৪২জন প্রার্থী ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পদে ১শ ৮৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.