
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় ভোটের মাঝে পৃথক দুইটি ওর্য়াডে চাচা-ভাতিজার মধ্যে তুমুল ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে। ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী হাওয়া বেড়েই চলছে চাচা-ভাতিজার সমর্থকের পক্ষ-বিপক্ষ ভোট নিয়ে। পৃথক ওয়ার্ডে সদস্য পদে আপন চাচা-ভাতিজার মধ্যে ভোটের লড়াই বেশ জোরেশোরেই জমে উঠেছে। ওয়ার্ডের সব ভোটাররা এখন ব্যস্ত চাচা-ভাতিজার ভোটের খোশগল্প নিয়ে। অনুষ্ঠিত হবে ২৮শে নভেম্বর এ উপজেলায় ভোট্।
পৃথক ওয়ার্ড দুইটিতে গিয়ে জানা গেছে,বড়ভিটা ইউনিয়নে নওদাবশ ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একই বাড়ীতে চাচা মিজানুর রহমান দুলু ‘মোরগ’ এবং ভাতিজা মমিনুল ইসলাম ‘তালা’ প্রতীক নিয়ে জোরে সোড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কে হাসবে বিজয়ের হাসি তা নিয়ে চলছে এলাকার সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা। দিন রাত স্থানীয় চায়ের দোকানগুলোতে চাচা-ভাতিজাকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনায় মুখরিত। তবে দুই জনেই বিগত নিবার্চনে পাল্টা পাল্টি সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তা ছাড়াও আরো দুইজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন একই ওয়ার্ডে। অপরদিকে একই ইউনিয়নে পুর্ব ধনিরাম হাজিরবাজার এলাকায় আপন চাচা-ভাতিজা মধ্যে সাধারন সদস্য পদে লড়ছেন ভোটে। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন শুধু ওই দুইজন প্রার্থী। অন্য কোন প্রার্থী নেই এ ওয়ার্ডে। একই বাড়ীতে চাচা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ টিউবয়েল ও ভাতিজা গোলাম মোস্তফা তালা প্রতীক নিয়ে মাঠে চুষে বেড়াচ্ছেন।
চাচা আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ জানান একই বাড়ী থেকে ভোট করছি ঠিকই কিন্তু ভাতিজার সাথে আমার পরিচয় নেই। তার বাবা আমার বড়ভাই ।মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এক সাথে চলাফেরা করছি। সর্ক ভালই ছিল। ভাতিজার সাথে সর্ক না থাকায় ভোটযুদ্ধে নেমেছি। অপর দিকে মিজানুর রহমান দুলু বলেন চেষ্টা করা হয়েছে মীমাংশার। কিন্তু তা হয়নি। ভোটের মাঠে আমরা চাচা-ভাতিজা লড়ছি। জনসাধারন যাকে রায় দিবেন মেনে নেয়া হবে।