স্টাফ রিপোটার :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে বিএনিপি‘র অনুষ্ঠানে পুলিশের বাধাদানকে কেন্দ্র পুলিশ – বিএনপির নেতা–কর্মীদের মধ্য ধাওয়া –পাল্টা –ধাওয়া , সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় সরিষাবাড়ী পৌর সভার আরামনগর বাজার উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের পিছনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবকদল পৌর শাখা আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি দোয়া মাহফিলের অনুষ্ঠানে পুলিশ বাধাদান করলে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।
এ সময় দলীয় কার্যালয়ের পিছন থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ বিএনপি‘র দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নিবন্ধনবিহীন ছয়টি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় যায়।
পুলিশ ও বিএনপি‘র দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় রোববার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।এ বিষয়টি সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ খবর পেয়ে পুলিশ বিএনপি‘র দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দলীয় নেতা–কর্মীর কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করলে পুলিশ-বিএনপি‘র মধ্যে ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ দাবী করছে, বিএনপি নেতা–কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারলে জনরোশ ফিরাতে পুলিশ নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি পেটা করতে উদ্যত হয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কমী দৌড়া দৌডিতে অনুষ্ঠানে চেয়ার ভাঙচুর হয়। এ ছাড়্ও বিকট বিস্ফোরণের শব্দ ছডিয়ে পড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ নিয়ে বাজার এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করেবাজার ত্যাগ করেন।
জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভপতি আজিম উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, আমাদের দোয়া মাহফিলে পুলিশ ও সরকার দলীয় নেতা–কর্মীর হামলায় দলীয় কার্যালয়ের অর্ধশতাধিক চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর সহ ১০–১৫ জন নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রফিবুল হক জানান, পুলিশকে লক্ষ্য করে বিএনপি‘র নেতা-কমীরা চেয়ার ছুড়ে মারে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন লাঠি পেটার জন্য উদ্যত হলে দৌদা দৌড়ী করে চলে যায়। এ সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে নিবন্ধনবিহীন মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা ১৮ জনের নাম উল্রেখ করে ৫০/৬০ জনকে সন্দেহভাজন করে মামলা হয়েছে।