শফিকুল ইসলাম, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) থেকে: স্বামীর হাতে স্ত্রী খুনের একদিন পর এবার ঢাকার আশুলিয়ায় স্বামীকে খুন করে স্ত্রী তার লাশ নিয়ে গেল ঘাটাইলে শ্বশুরবাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে ঢাকার আশুলিয়া ভাড়া বাসায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী লিজা আক্তারসহ (১৮) ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত অন্যান্যরা হচ্ছে- লিজার মা লাকী বেগম, দাদি ফুলজান ও চাচাতো বোন জামাই সুজন মিয়া।
নিহতের নাম প্রতীক হাসান (২৫)। তিনি ঘাটাইলের লক্ষ্মীন্দর ইউনিয়নের বিল্লাল হোসেনের ছেলে। তার মা হাসনা বেগম ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য। তদন্তকারী সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, এক বছর আগে একই উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ঘোনার দেউলি গ্রামের লিজা আক্তারের সঙ্গে প্রতীক হাসানের বিয়ে হয়। বিয়ের পরই ঢাকার আশুলিয়া গিয়ে স্বামী প্রতীক হাসান এক পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। আর লিজা ওখানেই গৃহপরিচিকার কাজ করে।
স্বামী পোশাক কারখানায় কাজ করতে গেলে একই বাসায় সিরাজগঞ্জের সেলিম নামে এক ভাড়াটিয়া যুবকের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শনিবার এ বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ওই সময় লিজা ও পরকীয়া যুবক মিলে প্রতীক হাসানকে মারপিট ও শ্বাসরোধ করে খুন করে। পরে লাশটি শ্বশুরবাড়ি নিয়ে স্ট্রোক জনিত কারণে মারা গেছে বলে তার শাশুড়িকে জানায়। এতে তাদের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এলে লিজা আক্তার তার স্বামীকে খুন করার কথা স্বীকার করে।
জানতে চাইলে ঘাটাইল থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম সরকার বিডি২৪লাইভকে বলেন, স্বামীকে খুন করে স্ত্রী নিজেই লাশ নিয়ে আসে স্বামীর বাড়িতে। লাশটি সুরত হালে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরকীয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।