দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

২ নং পোগলদিঘা ইউনিয়ন পরিষদ স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন সামস উদ্দিন

0

স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুর সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউপির চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সমাজসেবক সামস উদ্দিন। বুধবার উপজেলা নির্বাচন ও রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন ফরম জমা দেন তিনি। এ সময় তার সহযোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সামস উদ্দিন বলেন, ইউনিয়নবাসীর কাছে আমি অতি চেনা মুখ। কারণ আমি ইউনিয়নের জনগণের সুখে দুঃখে সব সময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। এলাকায় আমার ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। তাই তাদের চাহিদার ভিত্তিতে আজ আমি পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছি।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি শতভাগ আশাবাদী ইউনিয়নের জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে।

উল্লেখ্য, আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে সরিষাবাড়ী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন।
এ বিষয়ে সামস উদ্দিন আরো বলেন, উপজেলার সবচেয়ে বৃহৎ ইউনিয়ন এটি । ৯.৮৮৩বর্গমাইল আয়তনের এ ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের প্রায় ৭০ হাজার জনগণ রয়েছে। এ ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪৬ হাজার। সবচেয়ে বৃহৎ ও বেশি জনসংখ্যার এ ইউনিয়নটি আমি চতুর্থ বারের মতো দায়ীত্ব পালন করছি। আমি ১৯৭৩ সালে ইস্রাইল আহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক এবং ১৯৭৫ সালে সরিষাবাড়ী কলেজ থেকে আইএ পাস করি। ছাত্রজীবন থেকেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি ছিলো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। ৭৫এ বঙ্গবন্ধুর স্বপরিবারে হত্যার পর দেশের মানুষ আ.লীগ এর নাম নিতে ভয় পেতো। তখনো আমি সকলের সাথে সক্ষ্যতা তৈরি করে ধারাবাহীক ভাবে আ:লীগের রাজনৈতিক কাজের সাথে চলমান থাকি। যার ধারাবাহীকতায় ১৯৮৩ সালে হত্যা মামলার হুকুম দাতা হিসাবে ১নং আসামী হই। ১৯৯১ সালে বিএনপির সরকার ক্ষমতায় আসার পরে শুরু হয় অত্যাচার নির্যাতন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন কমিটি গঠন ও দলকে গতিশীল করতে অগ্রনী ভুমিকা রাখি এবং আমার মেধা,শ্রম ও অর্থদিয়ে সহযোগিতা করি। যার ফলে ইউনিয়ন কমিটিতে মাওলানা নূরুল ইসলাম (পরবর্তীতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী) সম্মানীত এক নং সদস্য ও আমি দুই নং সদস্য হই।১৯৯৬ সালে সংসদ নির্বাচনে মাওলানা নূরুল ইসলাম আ.লীগের মনোনয়ন পান আমি সেই নির্বাচনে প্রথম সারির একজন কর্মী হিসাবে কাজ করি। যার সুবাদে ৯৬ আ.লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার পরে ১৯৯৭ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আ.লীগের সমর্থনে ছাতা প্রতিকে প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চিয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হই। ২০০১ সালে আবারো বিএনপি ক্ষমতায় আসার পরে আমার ও আমার পরিবারসহ আ.লীগ পরিবারের উপর শুরু হয় আত্যাচার, নির্যাতন, দমন,নিপিডন,হামলা-মামলা। সেই সময় হত্যা মামলাসহ ১৩টি মামলার আসামী হই। দলীয় সকল নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া হয়ে চরাঞ্চলে আত্যগোপন করি। পরবর্তীতে ২০০৩ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এলে আ.লীগের নেতা শুন্য সরিষাবাড়ীতে তৎকালিন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঃ মজিদ এর সাথে নির্বাচনে প্রতিদন্ধী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি এলাকার বাহিরে থেকে। আ.লীগের নেতাকর্মীদের সহযোগীতায় ও ইউনিয়নের জনগণের মৌন সমর্থনে অন্যের মাধ্যমে মনোনয়ন জমা দেই। শুরু হয় বিএনপি দুঃশাসনের অত্যাচারের ত্রীব্য মাত্রা। সে সময় আমার করাত কল, মুরগির খামার, মুরগির খাদ্যের দোকানসহ প্রায় ৬০ লক্ষ্য টাকার সম্পদ লোট করে নিয়ে যায় বিএনপি সন্ত্রাশীরা। ফলে তখন আমি ইসলামী ব্যাংকএ ৩০ লক্ষ্য টাকার ব্যাংক ডিফোল্ডার হই যা আমার বাবা নিজ জমি বিক্রীকরে পরিশোধ করেন।
তখন নির্বাচনে মাত্র ২০০ পোষ্টার তৈরি করেছিলাম কিন্তু কোথাও লাগাতে পারিনি তবুও জনগণের মৌন সমর্থনে প্রায় তিন হাজার ভোট বেশী পেয়ে মোমবাতী প্রতিকে জয়লাভ করে দ্বিতীয় বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। নির্বাচিত হলেও সরিষাবাড়ীতে শপথ নিতে পারিনি। পরে জামালপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শপথ গ্রহন করি।যতদিন বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো ততদিন এক ঘন্টার জন্যেও পরিষদে যেতে পরিনি। যার ফলে চরাঞ্চলে অত্যগোপনে থাকা আ.লীগের নেতাকর্মিদের নিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় যতটুকু সম্ভব পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করি।
বিএনপি ক্ষমতার শেষের দিকে আ.লীগের আন্দোলন সংগ্রাম ঘনিভূত হতে থাকে। নেতাকর্মিদের সাথে নিয়ে এলাকায় অবস্থান করি শুরু হয় দ্বীপাক্ষিক সংগ্রাম। তৎকালিন বিএনপি সন্ত্রাশীদের গডফাদার শামিম-শাহিনের নেতৃত্বে এলাকায় বার বার আক্রমনের চেষ্ঠা করে সেখানে আমার নেতৃত্বে এবং প্রত্যোক্ষ্য অবস্থানে প্রতিহত করি।এমতোবস্তায় বিএনপির অভ্যন্তরিন কোন্দলে বিএনপি নেতা হায়দর আলী বাবু হত্যা হলে সে মামলারো হুকুম দাতা হিসাবে আমাকেই এক নং আসামী করে। এরপর বিএনপির আক্রোমনে আ.লীগনেতা সাইদুর রহমান হত্যা হয়। ক্ষমতার দাপটে বিএনপি সেই হত্যা মামলার বাদী হয়ে আমাকেই এক নং আসামী করে। পরবর্তীতে ইউপি নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো আ.লীগের নেতাকর্মী ও জনগণের সহযোগীতায় আনারস প্রতিকে জয়লাভ করি।এমতোবস্থায় সংসদ নির্বাচনসহ আ.লীগের সকল রাজনৈতিক কাজে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করে আসছি।
পরবর্তীতে ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতিকে নীতিমালায় আমিই দলীয় প্রতিক নৌকার মনোনয়ন নিয়ে প্রথম নৌকা প্রতিকে চেয়ারম্যন নির্বাচিত হয়ে চতুর্থ বারের মতো দায়ীত্ব পালন করে আসছি।
বর্তমানে আমি সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়ীত্ব পালন এবং সুদির্ঘ সময় ধরে জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছি

Leave A Reply

Your email address will not be published.