দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

অন্যের চাপানো মিশন বাস্তবায়ন পুলিশ সুপার প্রত্যাহার আন্দোলনে বিএনপি জামাতপন্থী সাংবাদিকদের মানববন্ধন

0

স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে তাড়াও আন্দোলনে বিএনপি-জামাতপন্থী সাংবাদিকরা এখন মাঠে। গতকাল জামালপুর শহরের দয়াময়ী মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছেন।

জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ নাকি জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে পিটিয়ে পাছার চামড়া তুলে ফেলতে চেয়েছেন! অশালীন ভাষায় নাকি গালিগালাজ করেছেন! একারণেই আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ সুপারকে জামালপুর থেকে প্রত্যাহারের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে কথাকথিত কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে।
কর্মরত সাংবাদিক ব্যানার ব্যবহারটা করা হয় যখন সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার প্রয়োজন পড়ে তখন অথবা যখন কোনো সাংবাদিক কোনো একটা নিজের কৃতকর্মের কারণে ঝামেলায় জড়ায়ে পড়ে তখন। মূলত তারা আলাদা আলাদা প্রেসক্লাবের কর্মকর্তা ও সদস্য। দলে দলে বিভক্ত থেকেও কীভাবে তারা ঐক্যবদ্ধ কিসের ভিত্তিতে এটা আমার কাছে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। “একই স্বার্থে পরস্পর শত্র“রাও এক হয়ে যায়।” জামালপুরের কর্মরত সাংবাদিকরাও হতে পারে তার একটা উকৃষ্ট উদাহরণ গতকালের মানববন্ধন।

পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানকে কেন গালিগালাজ করেছেন? কেন পিটিয়ে পাছার চামড়া তুলতে চেয়েছেন? অবশ্যই এটা নিন্দনীয়। তবে জনমনে বড় প্রশ্ন, পুলিশ সুপার কেন এমন উদ্যত হলেন? নিশ্চয়ই ঘটনার কোনো একটা ঘটনান্তরাপ্রেক্ষিত আছে। ঘটনাস্থলে জামালপুর প্রেসক্লাবের এ দু’কর্ণধার কি সশরীরে উপস্থিত ছিল? যতদূর জানা যায়, তারা দু’জন ছিলেন না। অন্য সাংবাদিকদের সামনে নাকি পুলিশ সুপার উদ্যত কথাবার্তা বলেছেন। তারাই নাকি পুলিশ সুপারের নাটকিও কথোপকথন রেকর্ড করেছে। সম্ভবত মোবাইলে পুলিশ সুপারের কথোপকথন রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের কথোপকথন নিশ্চয়ই নিউজের বিষয়বস্তু ছিলনা। সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে পুলিশ সুপারের কথোপকথন মোবাইলে ধারণ করে পুলিশ বিরোধী উস্কানি দেওয়া হয়েছে। এটাও আইসিটি আইনের সুস্পষ্ট ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

যতদূর জানা যায়, জামালপুর প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটিকে একটা অবৈধ দখলদার কমিটি। সদস্যদের বেশির ভাগই অসাংবাদিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোক। রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে গিটঠু বাঁধায়ে সাংবাদিকতা পেশায় নিরপেক্ষ থাকা যায়না সেটা প্রেসক্লাবের অবৈধ কমিটির কর্মকর্তা নামের অকালকুষ্মাণ্ডদের বোঝার ক্ষমতা নেই বললেই চলে।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা একজন অর্ধশিক্ষিত, মূর্খ। সর্বোপরি একজন অতিমাত্রায় বেয়াদব বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক মোস্তফা বাবুল তার ফেইসবুক আইডিতে। এর আগের একজন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দিনের সাথে সাদার ঝামেলা হয়েছিল। নিজাম উদ্দিন ছিলেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার সম্পর্কে কটূক্তি করে সাদা বক্তব্য রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায়। পুলিশ সুপারের আত্মসম্মানে লাগে। তিনি তখন বলেছিলেন, সাদা কে? ওতো একজন রাজাকারের সন্তান। একজন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সম্পর্কে বাজে কথা বলার সাহস পায় কোথায় থেকে?।

প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদাকে আসলে? ওর উত্থান কীভাবে হলো? লিখতে পারেনা এক কলম সে হয়েছে চ্যানেল আইয়ে সাংবাদিক। তোমধ্যে একজন পরিচিত কে ভূমি অফিসে ডেকে নিয়ে ছবি তুলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছে। বিনা অনুমতিতে কারো ছবি তোলাও যে আইসিটি আইনে অপরাধ সাদার সেটা জানা নেই। জামালপুর সদর উপজেলা ভূমি অফিসের একজন উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান মিলনকে সাদা বদলীর হুমকি দিয়ে আসছে বলে জানা যায়।
পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ যদি কোনো অশোভন আচরণ করে থাকেন অথবা গালিগালাজ করে থাকেন তার নিন্দা করা যেতেই পারে। মানববন্ধনে প্রেসক্লাবের তথাকথিত অবৈধ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যে ভাষায় পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করে বক্তৃতা করেছে তার জন্যও আইসিটি আইনে মামলা হতে পারে। পুলিশ বাহিনীকে ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করেন অভিজ্ঞমহল।

পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদের উপর কোনো কোনো মহলের ক্ষোভ আছে এটা জানি। উনি জেলা জামায়াতের আমীর নাজমুল হক সাঈদীকে ১৬ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাসহ নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করেছেন। নাজমুল হক সাঈদী প্রেসক্লাবের সদস্য। বিএনপির নাশকতা ঠেকাতে কঠোর ভূমিকা রেখেছেন এটাও জামায়াত-বিএনপি ঘোরনার সাংবাদিকদের পছন্দ নয়।

আজকে যদি বিভক্ত দুই প্রেসক্লাবকে একত্রিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয় তাহলে মানববন্ধনকারী সাংবাদিক নেতারা কি একত্র হবে? হবে না। কেন হবে না? এর উত্তর নাই। বলা যায় ডালে চালে একাকার হয়ে জগাখিচুড়ী অবস্থা হয়েছে জামালপুরে সাংবাদিকতা পেশার। বিএনপি-জামায়াত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র সাংবাদিকদের পুলিশ সুপার প্রত্যাহার আন্দোলনে হাওয়া দিয়ে আগুন কতটা উস্কিয়ে দিচ্ছে।

উলে­খ্য যে, পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন জামালপুরে যোগদানের পর তার কর্মকান্ড সর্বোমহলে প্রশংসিত হয়েছে এবং মানবিক পুলিশ সুপার হিসেবেই জামালপুরে মানুষের মুখে মুখে রয়েছেন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.