শিক্ষক নামের কলংঙ্ক-
দিগপাইতের ওয়াসিম মাষ্টারের বিরুদ্ধে অভিভাবকের অভিযোগ
জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত ইউনিয়নের প্রাচীনতম বিদ্যাপিঠ দিগপাইত ধরনীকান্ত বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) ওয়াসিম উদ্দিন মাষ্টার অভিভাবক ও পিয়নের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করাই এলাকায় নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ওই মাষ্টারের বিরুদ্ধে বিচার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী অভিভাবক। জানা যায় কয়েকদিন আগে এক অভিভাবক তৌহিদুল আলম তার সন্তান তরীর রেজিষ্ট্রেশনের ভুল সংশোধনের বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করেন। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ওই শিক্ষার্থীর রেজিষ্ট্রেশনের ভুল সংশোধনের নিমিত্তে একটি ফরওয়ার্ডিং পত্র ইস্যু করা হয়। ওই অভিভাবকদের অনুরোধে ফরওয়ার্ডিং পত্রটি সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) ওয়াসিম মাষ্টারের মাধ্যমে পাঠানো হয়। কিন্তু ওই শিক্ষক তা সঠিক সময়ে পৌছান নি। ফলে ওই অভিভাবকের সাময়িক সমস্যা হয়। ওই অভিভাবক ওয়াসিম মাষ্টারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। ওই শিক্ষক নিজের দোষ ঢাকার জন্য প্রধান শিক্ষক ফরওয়ার্ডিং পত্রে স্বাক্ষর দিতে চাইনি মর্মে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। এতে ওই অভিভাবক স্বভাবতই প্রধান শিক্ষকের সাথে সাক্ষাৎ করে বিষয়টি জানতে গত শনিবার প্রতিষ্ঠানে আসেন। প্রধান শিক্ষক ঘটনা শুনে ওয়াসিম মাষ্টারের নিকট নেতিবাচক মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চান। এ কারণে ওয়াসিম মাষ্টার ক্ষিপ্ত হয়ে ওই অভিভাবকের উপর চড়াও হন। এর প্রতিবাদে ওই অভিভাবকও ওই শিক্ষককে উচিৎ জবাব দেন। এরপর ওয়াসিম মাষ্টার রেগে মেগে ওই অভিভাবককে মারতে উদ্যত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে সহকারী প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেছ আলী ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, তাহমিদুল ইসলাম উজ্জ্বল রীতিমতো হিমসিম খান। এরই এক ফাঁকে অফিস পিয়ন মোতালেব প্রয়োজনে অফিস কক্ষে ঢুকে। সেও পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করতেই ওয়াসিম মাষ্টার বাঁশের দন্ড দিয়ে তার ঠেঙ্গে এলোপাতারি আঘাত করে। এতে ওই পিয়ন গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে দিগপাইত উপশহরের এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়। এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীসহ সচেতন মহলে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় বইছে। ভুক্তভোগী অভিভাবক তৌহিদুল আলম ও পিয়ন মোতালেবের পরিবার এবং সুধী জনেরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট শিক্ষক নামের কলংঙ্ক ওয়াসিম মাষ্টারের সুষ্ঠু বিচার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন। এছাড়া ভুক্তভোগী অভিভাবক তৌহিদুল আলম এ বিষয়ে বিচার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।