“দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রি কলেজের সভাপতিকে শোকজ সরকারি নির্দেশ অমান্য সরকারী নির্দেশ অমান্য করায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে।জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজের আ.ই.সি.টি প্রভাষক জুলহাস ওরফে মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে দুই দুইবার সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ দেন। কিন্তু কলেজ সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কার্যকর করেন নি। তাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। জানা যায়, দিগপাইত ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর খালেক হত্যা মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়ে ২৮.৮.২০১৬ তারিখে জেল হাজতে যান জুলহাস ওরফে মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ। যার মামলা নং ৬৩৭/২০১৬ দন্ডিবিধি ৩৪১/৩২৩/৩৪/৩২৬/৩০৭/৩৬৪/৩০২/১১৪ ধারায় মামলাটি চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে একই কলেজের বিএম শাখার (কম্পিউটার অপারেশন) প্রভাষক এ,কে,এম হুমায়ূন শরীফ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জুলহাস ওরফে মোহাম্মদ আহসান উল্লাহকে গত ১৮ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সাময়িক বরখাস্ত করে উক্ত অধিদপ্তরকে নোটিশ প্রদান করে। কলেজ কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে জুলহাসকে বহালতবিয়তে রেখে পরবর্তীতে তাকে পুরস্কৃত করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়। এদিকে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও বিএম শাখার (কম্পিউটার অপারেশন) প্রভাষক এ,কে,এম হুমায়ূন শরীফ আবেদন করেন এবং ৩ কার্যদিবসের মধ্যে বরখাস্তের আদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর দিগপাইত শামসুল হক ডিগ্রি কলেজ কর্তৃপক্ষকে নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে নিজের কর্তব্য ও দায়িত্ববোধ পিছনে রেখে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জুলহাসকে নিরাপদ রাখাকেই অধিকতর দায়িত্ব মনে করেন কলেজ সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ। এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিড়িয়ায় বহুবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ভেবেছিল বিষয়টি হয়তোবা ধামাচাপা পড়েছে কিন্তু এরই এক পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ব-বিদ্যালয় গত ২৯.৩.২০২২ তারিখে কলেজ গর্ভনিং বড়ির সভাপতি আব্দুল হামিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। বিষয়টি কলেজ অধ্যক্ষ মহির উদ্দিন তালুকদার নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে কলেজ সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদের সঙ্গে (মোবাইল ফোনে 01712) কথা বলে জুলহাসের এতো ক্ষমতার উৎস কোথায় জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদকের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। কারণ দর্শানোর জবাব দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কথা না বলে কলটি কেটে দেন। উল্লেখ্য যে, দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ২০০৪/২০০৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি ডিপ্লোমা শাখার কোর্স চালু হয়। তখন ৭ জন শিক্ষক ও ৩ জন কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং পাঠদানের অনুমোদন পায় ওই শাখা। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠাকালে নিয়োগপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীরা জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন পেশায় চলে যান। শাখা এমপিওভুক্ত হওয়ায় অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান কলেজ অধ্যক্ষ মহিরউদ্দিন তালুকদার তৎকালীন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি জামালপুর সদর আসনের এম.পি ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন এর সহযোগিতায় পুর্বে নিয়োগপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের বাদ দিয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নতুন ৮ জনকে টেম্পারিং নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্তির জন্য কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেন। এই নিয়োগে জালজালিয়াতির জন্য নূরে হুদা মোহাম্মদ আলী উচ্চ আদালতে রিট করে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মা শিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। নুরে হুদা মোহাম্মদ আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ নভেম্বর ২০২০ সালে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিমল কুমার মিশ্র ও সংযুক্ত কর্মকর্তা (এমপিও) বিশ্বজিৎ দে সরেজমিন তদন্ত করে অনিয়মের মাধ্যমে ১০ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ও রেজুলেশন টেম্পারিং এর সত্যতা খুঁজে পায় এবং ২৬ জানুয়ারি কর্মকর্তাগন ৮৯ পাতার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়। এদিকে বিভাগীয় তদন্তের পরে আবার নতুন করে উক্ত কলেজ এর দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। গত ২৮ মার্চ ২০২১ ইং তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় টাঙ্গাইল, তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জামালপুরকে চিঠি প্রেরণ করেন এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ইমেইলে তদন্ত রিপোর্ট প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। তদন্তে বিলম্ব হওয়ায় আবারও দুদক এনফোর্সমেন্ট-এ প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেন। দুদকের তদন্ত বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুনিরা মোস্তারী ইভাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান- তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। দিগপাইত শামছুল হক ডিগ্রি কলেজটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এই দায় সাবেক গভর্নিং বডির সভাপতি জামালপুর সদর আসনের এমপি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ মোজাফফর হোসেন এড়াতে পারেন না। এই কলেজটির এমন পরিণতি দেখে সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে এলাকায়।”
BREAKING NEWS
- শেখ হাসিনা‘কে নিয়ে ছাত্রদল নেতার কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
- নগরকান্দায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’-২০২২ এর শুভ উদ্বোধন
- কিশোরগঞ্জে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল ফাইনাল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত
- ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক সহ আটক-২
- কালবৈশাখী ঝড়ে রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের টিনের চালা উডিয়ে নেয়ায় পাঠদান ব্যাহত
- ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
- স্বর্গীয় বাবু শম্ভ কমল রায় ও পরমানন্দ ভৌমিক এর স্মরণে শোক সভা অনুষ্ঠিত
- টাংগাইলের ধনবাড়ীতে জাতীয় ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন
- গ্রাম্য সালীশের সিদ্ধান্তে ধর্ষকের সাথে অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর বিয়ে
- দেশরত্ন শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত