ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকরা তাদের প্রাপ্য সম্মান চায়।
তারা বিভিন্ন পর্যায়ে হয়রানি শিকার হচ্ছে। প্রাপ্য অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আদালতে গিয়েও কোন ফায়দা হচ্ছে না। আদালতের ধারে ধারে গুরেও কোন কুলকিনারা পাচ্ছে না। এক চেয়ারে একই পদে পেনশনে যেতে হচ্ছে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের। দেশের সকল ডিপ্লোমাধারীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছে।
গ্রামীণ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতে ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষা (DMF) কোর্স চালু বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিলো। তেমনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলো কমিউনিটি ক্লিনিক।
ডিপ্লোমা মেডিকেল শিক্ষা (DMF) কোর্স একবার ৪ টি, আবার ৮টি, ১৮ টি, ৫টি, সর্বশেষ ১১টি, ভবিষ্যতে ২২ টি সরকারী ম্যাটস প্রতিষ্ঠান হচ্ছে। কতবার বাড়ানো আর কমানো হচ্ছে। মাঝে একবার ৭ বছর বন্ধ ছিল। আন্দোলন সংগ্রাম করে চালু করা লাগছে। উচ্চশিক্ষার সুযোগতো দিচ্ছেই না। রক্তঝরাতে হচ্ছে রাজপথে। তাতেও সাড়া মিলছে না। প্রায় ১৪ বছর পদবী বাস্তবায়ন হতে দেয় নি। মামলা করে পদবী বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। ২০০৮ এর পূর্বে নতুন পদ সৃষ্টি করতে দেয় নি। প্রায় ১০ বছর নিয়োগ বন্ধ রেখেছিল। ২০১৮ সালের নিয়োগবিধি থেকে সুকৌশলে বাদ রাখা হয়েছিল। ২০১০ সালে এসে DMF দের কোন মতামত ছাড়া BMDC ও DMF শব্দটি বাদ রেখে আইন প্রনয়ণ করে , যার জন্য আদালতে অধিকার আদায়ের জন্য রিট করতে হয়। এবং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ডাঃ লিখার অধিকার প্রদান করেন। তবে বিভিন্ন নতুন নতুন আইনে ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকদের নানা ভাবে উপস্থাপন করে তাদের আদালত মুখী করছে যাহা মোটেও কাম্য নয়।অথচ বাস্তবতা ভিন্ন এই ডিপ্লোমাধারী চিকিৎসকরাই করোনা মহামারীকালিন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। শুধু করোনা কালিন সময়েই নয়। সারাবছরই তারা এই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। একজন এমবিবিএস ডাক্তারও এতো প্রান্তিক পর্যায়ে এসে ডিপ্লোমাধারীদের মতো চিকিৎসা সেবা দেয় না। এক কথায় দেশের নিম্ন শ্রেণির মানুষের ডাক্তার হলো এই ডিপ্লোমাধারীরা। কিন্তু তারাই আজ নানানভাবে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তাদেরকে আইন জটিলতায় ফেলে প্রাপ্ত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। BMDC র রেজিস্ট্রেশন থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার এসোসিয়েশন এর পৃষ্ঠপোষকতায় প্রসাশনের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়রানি করে চলেছে। হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই ডিপ্লোমাধারীদের কোন বিকল্প নেই। কিন্তু বাহিরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে নানা আইনি বধার সৃষ্টি করে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন দিয়ে নানান রকমের হয়রানি করা হচ্ছে। এই অবস্থায় ডিপ্লোমাধারীরা কোথায় যাবে? কি করবে?
আমার গ্রামের দিগপাইত স্বাস্থ্য উপ-কেন্দ্রে দেখেছি – উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ রেজাউল করিম হীরা করোনাকালিন সময়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বসাধারণকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। এই হীরাকে দেখি এলাকার রোগীদের ২৪ ঘন্টার যেকোনো সময়ে প্রয়োজনে বাড়িতে গিয়েও চিকিৎসা সেবা দিতে। তাই এই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারদের ন্যায্য অধিকার ও প্রাপ্য সম্মান দেওয়া উচিত। সরকারের নিকট তাদের আর্তি যে, আইনি হয়রানি বন্ধ করে তাদের পদোন্নতি ও উচ্চ শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া হোক।