সামসুজ্জামান সুমন কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) ঃ
দুই তলা ভবন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা বাবুপাড়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে দেখানো হয়েছে ১৩৫ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু খাতায় কলমে ১৩৫ জন শিক্ষার্থীর নাম থাকলেও বাস্তবে দেখা যায়নি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সমান উপস্থিতি। ৩য় শ্রেণীর ১জন,৪র্থ শ্রেণীতে ১ জন,ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষিকা ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি। জানাযায় সরকারের দেওয়া যতগুলো বরাদ্দ আসে তা নামমাত্র কিছু কাজ করে বাকী সবটাকা আতœসাত করেন তিনি। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ঐ স্কুলে বরাদ্দ আসে পঞ্চাশ হাজার টাকা। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান সেই বরাদ্দের টাকা কিছু কাজ করে বাকী সবটাকা মেরে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
শিক্ষার্থী উপস্থিতি নেই কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহফুজার রহমান বলেন শিক্ষার্থীরা করোনা টিকা দিয়েছে তাই আজকে স্কুলে আসে নাই। কোন সময় বলেন,টিফিন
দিয়েছি এখনেই বাচ্চারা চলে গেলো বাসায় ভাত খাওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের বই ক্লাস রুমে না কেন? বাচ্চাদের বাড়ি কাছাকাছি তাই বই নিয়ে গেছে। স্কুলের বরাদ্দ বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন,যেসব জিনিষ কিনছিলাম সেইসব জিনিষ চুরি হয়েছে। চুরির বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু করোনা থেকে এখন পর্যন্ত ৮ থেকে ৯ বার চুরি হয়েছে তিনি কোনদিনেও এস এম সি মিটিং, অভিভাবক সমাবেশ বা মা সমাবেশ কিছুই করেন নি।