শুক্রবার ভোর থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বেশকিছু বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবি পুলিশ।
তবে নয়াপল্টনে গত বুধবারের সংঘর্ষ, বিএনপি কার্যালয়ের ভেতরে বোমা পাওয়া এবং আগামীকালের ঢাকার গণসমাবেশের বিষয়েই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডিবি পুলিশ বলছে, আগামীকালের সমাবেশ ঘিরে নাশকতা ঘটানো হতে পারে বলে তথ্য রয়েছে। এ বিষয়ে বিএনপির এ দুই নেতাকে ইতোমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে আরও জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদকারীদের একটি সূত্র বলছে, গত বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর বোমা নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কার ইন্ধনে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয় এবং এর পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে সেসব বিষয় জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এছাড়া বিএনপি কার্যালয়ের ভেতর থেকে পুলিশ যেসব বোমা উদ্ধার করেছে, তা কারা কেন রেখেছিল, সে বিষয়েও ডিবি পুলিশ জিজ্ঞেস করেছে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে।
এদিকে শুক্রবার সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএনপির এ দুই নেতাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সাদা পোশাকের পুলিশ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থাযী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা।
মির্জা ফখরুল ইসলামের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম দাবি করেন, রাত ১০টা থেকে উত্তরায় তাদের বাসার আশপাশে অবস্থান নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বিএনপি মহাসচিবকে।
অন্যদিকে রাত তিনটার দিকে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে মির্জা আব্বাসকে নিয়ে গেছে সাদা পোশাকের পুলিশ। এমন অভিযোগ তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের। তিনি জানান, বিএনপির শনিবারের সমাবেশের ভেন্যু পরিদর্শন শেষে বাসায় জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা আব্বাস। নেতারা চলে যাওয়ার পর একটি গাড়িতে করে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ।
এর আগে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ঢাকায় গণসমাবেশের জন্য কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাংলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। পরে মির্জা আব্বাস জানান, স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এদিকে, সমাবেশের ভেন্যুর বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএনপি। তবে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণসমাবেশ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দলটির নীতিনির্ধারণী মহল।