সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পথে গত সোমবার ( ২৭ মার্চ) তাদের বহনকারী বাসটি গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে মোট ২৪ জন নিহত হন।
মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৪ বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে। নিহত বাংলাদেশিরা হলেন নোয়াখালীর সেনবাগের মো. শরিয়ত উল্লাহর ছেলে শহিদুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের আব্দুল আওয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, নোয়াখালীর মোহাম্মদ হেলাল, লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, কুমিল্লার মুরাদনগরের রাসেল মোল্লা, কক্সবাজারের মহেশখালীর মো. আসিফ, গাজীপুরের টঙ্গীর আব্দুল লতিফের ছেলে মো. ইমাম হোসাইন রনি, চাঁদপুরের কালু মিয়ার ছেলে রুক মিয়া, কক্সবাজারের মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার দেবীদ্বারের গিয়াস হামিদ, যশোরের কাওসার মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নাজমুল, যশোরের ইস্কান্দারের ছেলে রনি, কক্সবাজারের মোহাম্মদ হোসেন ও চাঁদপুরের তুষার মজুমদার।
এছাড়া আহত বাংলাদেশিরা হলেন সালাহউদ্দিন, আল আমিন, মিনহাজ, জুয়েল, আফ্রিদি মোল্লা, মো. রিয়াজ, আব্দুল হাই, রানা, মো. সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী, কুদ্দুস, মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, ইয়ার হোসাইন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, মো. মোশাররফ হোসাইন।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, আহত ১৮ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ছাড়া মোট মৃতের সংখ্যা ২২ জন বলে সৌদি আরব থেকে জানা গেছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
একটি সূত্র জানায়, খাদে পড়ে যাওয়ার কারণে মৃতদেহগুলোর চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। ফলে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করতে সমস্যা হচ্ছে।