
মো. সেলিম হোসেন, গোপালপুর-টাঙ্গাইল:
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষ্যে মাধ্যমিক ক্যাটাগরিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষকের মুকুট পড়লেন গোপালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার দত্ত। তিনি উপজেলার ফলদা ইউনিয়নের ফলদা শরিফুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত ফলাফল সিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সন্তোষ কুমার দত্ত ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ১৯৯৮ সালে গোপালপুর উপজেলার আলমনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি সাংবাদিকতা করেন। তিনি গোপালপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন।
জানা যায়, ভূঞাপুর উপজেলায় মোট ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্ডস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউট (পিবিজিএসআই) জরিপে বিদ্যালয়টি উপজেলা পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে। ১৯৭৩ সালে ফলদা ‘প্রগতি ক্লাব’ থেকে ‘শরিফুননেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ৪৫০ জন শিক্ষার্থী ও ১১জন শিক্ষক রয়েছেন।
সিসি ক্যামেরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এ বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার, শহীদ মিনার, সততা ষ্টোর, ক্রীড়া ও বিজ্ঞানক্লাব, গ্রন্থাগারসহ বিদ্যালয় আঙিনায় ফলজ ও ওষধি, বনজসহ ৫১ প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে। মনোরম পরিবেশে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বাল্য বিয়ে, মাদক, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং বিরোধী প্রতিরোধ কমিটি করেছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যগণ নিয়মিত প্রতিষ্ঠানটি দেখবাল করে থাকেন। বিদ্যালয়ের দেয়ালগুলোতে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন লেখক, কবি, সাহিত্যিক, গবেষক, সাংস্কৃতিক ও সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ, বিজ্ঞানী, শিল্পী ও স্থানীয় গুনী ব্যক্তিদের ছবি শোভা পাচ্ছে। যা উপজেলায় অন্যান্য বিদ্যালয় থেকে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মানোন্নয়নে বিশেষ যতœসহকারে অতিরিক্ত ক্লাস নেওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে এ বিদ্যালয়ে। এ ছাড়াও শিক্ষকরা নিয়মিত হোমভিজিট করে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নিয়ে থাকেন। এতে অভিভাবকের সাথে গড়ে উঠে ভালোবাসার এক সেতু বন্ধন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্তোষ কুমার দত্ত জানান, একই সাথে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ও শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হওয়ায় আমি ভীষণ আনন্দিত। এ অর্জনের কৃতিত্ব সকলের। সব সময়ই শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করি। এছাড়া বিদ্যালয়ে পাঠদানে সৃজনশীলতা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মূল্যায়ন ও একাডেমিক সনদসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত বিভিন্ন গুণাবলির ভিত্তিতে এই বিদ্যালয় ও আমাকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। এ সফলতার জন্য শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।