দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

রুমায় অবাধে অবৈধ ভাবে পাথর, বালি উত্তোলনের মহোৎসব, বন্ধে কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা

0
সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: 
বান্দরবানের রুমা উপজেলার সদর থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বে সাঙ্গু নদী হতে তিন-চার পয়েন্টে বালু উত্তোলন ও তিন কিলোমিটার দূরত্বে ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের সামাখাল পাড়ার পাশ্ববর্তী বগাঝিড়ি থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা। পরিবেশগত ভাবে সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত এবং সর্বোচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এক বছর ধরে সাঙ্গু নদী থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন প্রভাবশালীরা। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ থাকার পর আবারো কৌশল বদল করে রুমাখাল মুখ সাঙ্গু নদীর চর এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে মরিয়া হয়ে উঠেছে তিনটি চিহ্নিত চক্র। এ অপতৎপরতা রোধে প্রশাসনের কোন আগ্রহ কিংবা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মুনলাই পাড়া যাওয়ার পথে রাস্তার পাশে তিন-চারটি পয়েন্ট থেকে ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বালু সরবরাহ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, রুমা উপজেলার আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক পনলাল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একটি চক্র ও বিশিষ্ট ঠিকাদার জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল বালু উত্তোলন করছে। অপরদিকে রুমা সদর ইউনিয়নের বগাঝিড়ি থেকে পাথর উত্তোলন করে প্রকাশ্যে রাস্তায় মেশিন বসিয়ে পাথর ভেঙ্গে কংক্রিট করতে দেখা গেছে। পাথর উত্তোলনকারী শ্রমিকদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমাদেরকে ঠিকাদার মংওয়েনু মারমা কাজ করার জন্য পাঠিয়েছে। এ যাবৎ ২-৩ হাজারের অধিক ঘনফুট কংক্রিট সরবরাহ করা হয়ে গেছে বলে তারা জানান।
বস্তুত বেআইনি হলেও প্রভাবশালী ও দুর্নীতিগ্রস্ত কিছু স্বার্থান্বেষী মহল প্রশাসনের নাকের ডগায় সামাখাল বগাঝিড়ি, রুমাখালের মুখ ও সাঙ্গু নদী থেকে পাথর ও বালু উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। প্রায় সেখানে পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি হলেও প্রশাসন ও পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করে আসছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রশাসন খুব বেশি চাপে পড়লে অবৈধ বালু ও পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে, অভিযানে পরিকল্পিতভাবেই মূল হোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়, ফলে পাথর ও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। অভিযানের কিছুদিন পরই আবার শুরু হয় পাথর ও বালু উত্তোলন। স্থানীয়রা এই সর্ষের মধ্যে ভূত তাড়াতে অবৈধ ব্যবসায়ী, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থান আশা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক এর সাথে ফোনে দাপ্তরিক নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ না পাওয়ায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave A Reply

Your email address will not be published.