দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

লামার ইয়াংছা খাল পুনঃখননে সুফল পাচ্ছে ১১ গ্রামের মানুষ

0
সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: 
বান্দরবানের লামার ইয়াংছা খাল পুনঃখনন হওয়ায় সুফল পাচ্ছে ১১ গ্রামের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় কাজের পুণঃখনন কাজের আওতায় ইয়াংছা খালের দৈর্ঘ্য ৫ (পাঁচ) কিলোমিটার নদী ড্রেসিং এর কাজ হয়েছে, যাহার চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ১৩৫.৫৭ লক্ষ টাকা।
বান্দরবানের লামার ইয়াংছা খাল পুনঃখনন হওয়ায় সুফল পাচ্ছে ১১ গ্রামের মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় কাজের পুণঃখনন কাজের আওতায় ইয়াংছা খালের দৈর্ঘ্য ৫ (পাঁচ) কিলোমিটার নদী ড্রেসিং এর কাজ হয়েছে, যাহার চুক্তি মূল্য ধরা হয়েছে ১৩৫.৫৭ লক্ষ টাকা।
সরজমিনে জানা যায়, লামার ইয়াংছা খাল পুণঃখনন হওয়ার কারণে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা খালের উভয় পাড়ের মানুষ বিশেষ করে কাঠাঁল ছড়া ত্রিপুরা পাড়া, পৌয়াং বাড়ি, শামুকছড়া, কাঠাঁল ছড়া, ইয়াংছা বাজার পাড়া, মেম্বার পাড়া, হিমছড়ি, নতুন পাড়া, নতুন হেডম্যান পাড়া, কেছিং পাড়া, অংহ্লারি পাড়ারসহ আরও গুচ্ছ গ্রামগুলোর প্রাকৃতিক বন্যা, খড়া হতে রক্ষা ও কৃষির সেচ সুবিধা ভোগ করবে। এতে বিভিন্ন ধরনের কৃষি জাত পণ্য উৎপাদনে সুবিধা হবে।
পার্বত্য অঞ্চলের ভূ-উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে ক্ষুদ্রসেচ উন্নয়ন ও সেচ দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এর অর্থায়নে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে খালটি পুনঃখনন করা হয় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে। বর্ণিত প্রকল্প এর উদ্যোগে খালটি পুনঃখনন করার ফলে বদলে যাবে সেই খালের চিত্র ও স্থানীয় কৃষি ব্যবস্থা। এখন খননকৃত খাল দিয়ে নদীর পানি দ্রুত প্রবাহিত হয়ে মাতামুহুরী  নদীতে চলে যায়। সব সময় বৃষ্টির ভয় থাকত। খননকৃত খালের দু’পাশের অধিকাংশ কৃষক বোরো আবাদ করতে পারবেন। ফলে বিলসংলগ্ন এলাকার ১১ গ্রামের প্রায় ১২ হাজার মানুষ সুফল পেতে শুরু করেছে।
এরই মধ্যে স্থানীয় কৃষকগণ আমন ও বোরো মৌসুমে ভালো ফসল পাবে। এছাড়া, সুবিধাভোগীরা পানির প্রবাহ ঠিক রেখে খননকৃত খালে দেশীয় প্রজাতির মাছ চাষ করতে পারবে। স্থানীয় কৃষক মনজুর আলম, আবু তাদের ও নুরুল আলম বলেন- “ইয়াংচা খাল খনন করার ফলে আমরা ভাল করে চাষ করতে পারব। বন্যাতে ফসল নষ্ট হবে না। পাশাপাশি এটির সুবিধা ভোগ করতে আমাদের এমন কাজ করতে হবে যেন পরিবেশ বিপর্যয় না হয় বা আমরা পরিবেশ বিপর্যয়কে করা থেকে বিরত থাকব”।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাইল বলেন- “খাল ড্রেজিং হওয়ার ফলে আমাদের সুবিধা হয়েছে। পাশাপাশি আমাদেরকে সচেতনতার সহিত নদীর পাড়ে তামাক চাষ হতে বিরত থাকতে হবে। আর তাহলে আমাদের নদী -খাল ও ঝিরি প্রাকৃতিক অবয়ব রক্ষা পাবে”। ইয়াংছা খালের পার্শ্ববর্তী সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আজিম উদ্দীন বলেন- “নদীর দুই পাড়ের যাতে পরিবেশ ধ্বংসকারী তামাক চাষ না হয় সে বিষয়ে সবাইকে নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং নদীর গভীরতা রক্ষা করতে সবাইকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে”।
Leave A Reply

Your email address will not be published.