
সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
পর্যটন নগরী বান্দরবান,৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই পৌরসভায় বসবাস করছে অসংখ্য মানুষ। পৌরসভার অন্যতম জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক ছিল কলেজ সড়ক হয়ে গণপূর্ত ভবন পর্যন্ত। এই সড়ক দিয়ে কাজে- বেকাজে চলাচল করে দিনের কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ । এই সড়কের পাশেই জেলখানা, সিভিল সার্জন কার্যালয়, হাসপাতাল, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিসসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।তাই সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়াতে জনগনের দুর্ভোগের সীমা ছিল না।
বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি হলে কাদা ও পানিতে তলিয়ে যেত সড়কটি। সড়কে চলাচল কারী যানবাহন প্রতিদিনই নানা দুর্ঘটনার পাশাপাশি চরম ভোগান্তিতে পোহাতে হতো পৌরবাসীকে।
অবশেষে বেশ কয়েক বছর পর পৌরবাসীর দুর্ভোগ দূর করতে পৌরসভার উদ্যাগে হাসপাতাল সড়কটির সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় হাসী ফুটেছে ঐ এলাকায় বসবাসকারী জনসাধারণের মুখে।বান্দরবান কলেজ থেকে গণপূর্ত কার্যালয় পর্যন্ত দুরত্ব রয়েছে প্রায় এক কিলো। এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে প্রায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ। তবে গুরুত্বপূর্ন ছিল সদর হাসপাতাল। প্রতিদিন গর্ভবতী নারী ও রোগী পরিবহনের গাড়ি হাসপাতালে যেতে হতো এই সড়কটি দিয়ে। তাছাড়া পার্শ্ববর্তী এলাকা কালাঘাটা, কেচিংঘাটায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। যার ফলে স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীেদর যাতায়াতের জন্য এক মাত্র সড়ক হওয়াতেই ভোগান্তির যেন শেষ ছিল নাহ।
বান্দরবান পৌরসভা ও উন্নয়ন বোর্ড দেওয়া তথ্য মতে, সরকারী কলেজের সামনে থেকে গণপূর্ত বিভাগের সামনে পর্যন্ত প্রায় ৭৫০ মিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হয়।যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ লক্ষ টাকা,সরেজমিনে দেখা গেছে, ৭৫০ মিটার সড়কের এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে সংস্কারে কাজ। স্থানীদের দাবী দ্রুত এই প্রকল্পের কাজটি শেষ হলে পাল্টে যাবে পৌর এলাকার চিত্র।
বান্দরবান পৌর এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান প্রতিদিন কালাঘাটা থেকে সদরে প্রায় কয়েক হাজার মানুষ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে। সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করাতে এলাকার জনগণ কষ্টে জীবনযাপন করেছে। অবশেষে এবার হাসপাতাল সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে।এতে দীর্ঘদিনের জনভোগান্তি থেকে আমরা মুক্তি পাবো।
বান্দরবান পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র সৌরভ দাশ শেখর বলেন, পৌরসভার দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর হতে জনগুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল সড়কটির সংস্কার কাজটি প্রাধান্য দিয়েই প্রথমেই এই সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু করেছি।
খুব দ্রুত সময়ে এই সংস্কার কাজ শেষ হলে জনগণের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
উল্লেখ্য গত ৯ই জুন সড়কের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং।