দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

সিলেটে পাহাড়ী ঢলে ভেসে আসা বালু ও পাথর উত্তোলনে লক্ষাধিক শ্রমিকের জীবন-জীবিকা চলছে যুগ-যুগ ধরে

0

গোয়াইনঘাট(সিলেট)প্রতিনিধি:

পাহাড়ী ঢলে ভেসে আসা বালু ও পাথর উত্তোলন করে সিলেটের গোয়াইনঘাট সীমান্তের জাফলং-ডাউকি নদীতে লক্ষাধিক শ্রমিকের জীবন-জীবিকা চলছে যুগ-যুগ ধরে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশবাদী সংগঠনের দায়েরকৃত মামলা ও আইনী জটিলতায় ইসিএভুক্ত এলাকা থেকে বন্ধ হয়ে যায় বালু ও পাথর উত্তোলনের কাজ। শ্রমিকদের দাবি কিছু নামধারী সাংবাদিকের বাধার কারণে বালু উত্তোলন করতে না পারায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাছে শ্রমিকদের।স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং ডাউকি নদীতে পাহাড়ী ঢলের সাথে ভেসে আসা বালু ও পাথর উত্তোলন করে লক্ষাধিক শ্রমিক জীবন-জীবিকা নির্বাহ করত: কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশবাদী সংঠনের দায়েরকৃত মামলায় ইসিএভুক্ত এলাকায় স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায় বালু ও পাথর উত্তোলনের কাজ।স্থানীয় পুলিশ ও বিজিবি সদ্যদের বাধার কারণে পাথর উত্তোলন করতে না পারায় মানবেতর জীবন-যাপন করছে লক্ষাধিক দরিদ্র শ্রমিক। শ্রমিকদের বিকল্প কর্মসংস্থান না থাকায়,নুন্যতম বেচে থাকার জন্য ইসিএভুক্ত এলাকা প্রবেশ না করে বালু উত্তোলন করে প্রতিদিন ৩’শ থেকে ৫’শ টাকা আয় করে তাদের সংসার চালায়। অনাহারে-অর্ধাহারে থাকা এসব শ্রকিরা জানায়,ইসিএভুক্ত এলাকায় বালু ও পাথর উত্তোলনে প্রশাসনের নিষেধঞ্জা রয়েছে,তাই আমরা ইসিএভুক্ত এলাকায় সীমানার ভিতর না গিয়ে বাহির থেকে বালু উত্তোলন করেছি।সামন্য রোজি-রোজগার করে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে আমাদের সংসার চলছে। মানবিক দৃষ্টিতে প্রশাসন আমাদের হয়রানি না করলেও কিছু নামধারী সাংবাদিক আমাদের হয়রানি করছে। কথিত এক ধান্ডাবাজ সাংবাদিককে প্রতি নৌকা থেকে টাকা না দিয়ে বালু উত্তোলন করতে গেলে পুলিশ দিয়ে আমাদের নৌকা ধরিয়ে দিবে এমন হুমকিও দিচ্ছে।অপর একটি সুত্র বলছে, জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে বালু উত্তোলনে শ্রমিকদের নিকট থেকে আর্থিক ভাবে লাভবান না হওয়ায়,সম্প্রতি সময়ে একটি সার্থন্বেষী মহলের ছত্রছায়-কথিত ওই সাংবাদিক লক্ষাধিক শ্রমিকের কর্মসংস্থান বন্ধ করে দেওয়ার পায়তারা করছে। প্রশাসনকে বির্তকিত করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রশাসন বলছে,আদালতের নির্দেশে জাফলংয়ের ডাউকি নদীর ইসিএভুক্ত এলাকায় থেকে স্থায়ীভাবে বালু ও পাথর উত্তোলনে বন্ধ রয়েছে। একারণে ইসিএভুক্ত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আর্থিক দন্ড প্রদান করা হয়েছে। বিশেঞ্জরা বলছেন,দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি অর্থনৈতিক সংকট এর প্রভাব পরেছে দরদ্রি শ্রেণীর মানুষ গুলোর উপর, এভাবে চলতে থাকলে আইনশৃঙ্গখুলার অবনির হওয়ার আশস্কা রয়েছে। গোয়াইনঘাট সীমান্তে জাফলংয়ের ডাউকি নদীতে পাহাড়ী ঢলের সাথে ভেসে আসা বালু ও পাথর উত্তোলন বিপনণ ও পরিবহনে বাধা না দেওয়ার দাবি স্থানীয় শ্রমিকদের।

Leave A Reply

Your email address will not be published.