প্রথম সিনেমা দিয়েই ঢালিউডে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিলেন তিনি। পেয়েছিলেন সেরা অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। বলছি, ‘ম্যাডাম ফুলি’ খ্যাত চিত্রনায়িকা সিমলার কথা। পরবর্তীতে এই অভিনেত্রী আরও কিছু সিনেমা করলেও সেভাবে আলোচনায় আসতে পারেননি।
তবে ২০১৯ সালে হুট করেই ফের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন সিমলা। যদিও সেটি তার ফিল্মি কাজের জন্য নয়, ব্যক্তিগত জীবনের এক ঘটনা নিয়ে।
সে বছর বাংলাদেশি একটি উড়োজাহাজ ছিনতাইচেষ্টার সময় কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পলাশ আহমেদ নামে এক যুবক। পরে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে বাড়ি ওই যুবক হলেন চিত্রনায়িকা সিমলার স্বামী। এও জানা যায়, ২০১৮ সালে তারা গোপনে বিয়ে করেন। এরপর আর বিয়ে করেননি সিমলা।
তবে গরম খবর হলো, ফের বিয়ে করতে চলেছেন ‘ম্যাডাম ফুলি’। তার জন্য পাত্র খুঁজছেন। সদ্য দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা সিমলাই জানিয়েছেন। বলেন, ‘বারবার তো ভুল করা যাবে না। এখন একটু চিন্তাভাবনা করেই বিয়েটা করতে হবে। তবে এখন আমার একটু পরিণত স্বামী দরকার। সেই সন্ধানেই আছে পরিবার।’
অর্থাৎ, সিমলার কথায় এটা স্পষ্ট যে, উড়োজাহাজ ছিনতাইকালে নিহত যুবক পলাশকে বিয়ে করা তার জীবনের ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেই ভুল দ্বিতীয়বার করতে চান না নায়িকা। তাই এবার ভেবেচিন্তে, যাচাই করে তবেই জীবনসঙ্গী নির্বাচন করবেন।
জানা যায়, ঝিনাইদহের মেয়ে সিমলা সিনেমা জগতে আসেন এলাকার বড় ভাই তথা খ্যাতিমান গীতিকার ও সুরকার মিল্টন খন্দকারের মাধ্যমে। তিনিই সিমলাকে পরিচয় করিয়ে দেন দর্শকনন্দিত পরিচালক শহিদুল ইসলাম খোকনের সঙ্গে। জানান, ছোট বোনের অভিনয়ের প্রতি আগ্রহের কথা।
এরপর সিমলাকে অফিসে ডাকেন শহিদুল ইসলাম খোকন। কথা বলে ঠিক মনে হওয়ায় পরবর্তী সিনেমা ‘ম্যাডাম ফুলি’র নায়িকাও করেন। ব্যস, তারপরের ইতিহাস তো কমবেশি সবার জানা। এক সিনেমায় দুটি ভিন্ন চরিত্রে কামাল দেখিয়েছিলেন সিমলা। প্রথম সিনেমায়ই জেতেন জাতীয় পুরস্কার।