ম্যাচের ৭৬ মিনিটে যখন তাকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জাভি, তখন গ্যালারিতে থাকা বার্সেলোনা সমর্থকদের কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা করতালির মাধ্যমে সম্মান প্রদর্শন করতে থাকেন। মাত্র ১৬ বছর বয়স, কিন্তু পারফরম্যান্স দেখে কে বলবে তা!
এই বয়সেই লামিন ইয়ামাল জায়গা করে নিয়েছেন বার্সার শুরুর একাদশে।
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে গতকাল দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পাশাপাশি একটি অ্যাসিস্ট করে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন এই ফরোয়ার্ড। বার্সাও পেয়েছে ৪-৩ গোলের রোমাঞ্চকর এক জয়। একুশ শতকে লা লিগার ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে অ্যাসিস্টটি করেছেন ইয়ামাল।
জয়ের পর ইয়ামালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ কোচ জাভি হার্নান্দেসের। বার্সা হয়ে তার ক্যারিয়ারটা বেশ দীর্ঘ হবে বলে প্রত্যাশা করছেন তিনি, ‘ইয়ামালকে নিয়ে আমার প্রত্যাশা খুব বড়। কোচের ইচ্ছের কারণে সে প্রথম একাদশে জায়গা পায়নি, পারফরম্যান্স দিয়েই জায়গা করে নিয়েছে। মাঠে তার সিদ্ধান্ত প্রায় সময়ই সঠিক হয়। সে বুদ্ধিমান, সে অসাধারণ প্রতিভা। ‘
‘আমি ওকে স্পেনের হয়ে খেলতে দেখতে চাই। সে আমাকে তার পরিকল্পনার ব্যাপারে কিছু বলেনি। আমি শুধু চাই, সে বার্সেলোনার হয়ে অনেক দিন খেলুক। নিজের ছাপ রাখার সম্ভাবনা তার মধ্যে রয়েছে। তবে ধৈর্য রাখতে হবে। আমার মনে হয় না এখানে ম্যানেজমেন্ট ইস্যু থাকবে। সে আনন্দিত ও খুশি। সে কঠোর পরিশ্রম করে, ফুটবলকে ভালোবাসে… আমি দেখেছি সে খেলার জন্য প্রস্তুত। তার বয়স আমাকে বিস্মিত করে। কেবলই ১৬ হলো। ’
বার্সেলোনায় জন্ম হলেও লামিনের বাবা মরক্কোর ও মা গিনির। জন্মসূত্রে তিনি স্পেনের বয়সভিত্তিক দলে খেলেছেন। বার্সায় শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে স্নায়ুচাপ কাজ করেনি তার ভেতর।
ইয়ামাল বলেন, ‘সৌভাগ্যবশত, আমি ম্যাচের শুরু থেকে খেলতে ভয় পাই না। সেসব ভুলে ফুটবল খেলার চেষ্টা করি, যেটায় আমি ভালো। আমাকে শুরুর একাদশে দেখে মা ভীত ছিল, তবে তিনি খুব সহায়কও ছিলেন। ‘