দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

অতীতের স্মৃতিতে ভাসলেন মিঠুন

0

কোনো কোনো মুহূর্ত মানুষকে এক নিমেষে পৌঁছে দেয় ছোটবেলার কাছে, ভাসিয়ে নিয়ে যায় নস্টালজিয়ায়। মিঠুনের সঙ্গেও এমনই হলো। স্থান‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চ। হঠাৎ সোমবার সেখানে হাজির মিঠুন চক্রবর্তীর ছোটবেলার স্কুল। ঘটনাটি কী ঘটেছে?

এদিন দর্শক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ওরিয়েন্টাল সেমিনারি বয়েজ স্কুলের ছাত্র এবং শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা। তাদের কাছে মিঠুন জানতে চান, কোন স্কুল থেকে এসেছেন তারা। সঙ্গে সঙ্গে জানা যায়, ওই স্কুলেই মিঠুন ওয়ান থেকে ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। তাতেই নস্টালজিয়ায় ভাসে গোটা মঞ্চ।

তবে শুধু কথার মধ্যে দিয়ে পুরনো স্মৃতি ফিরে এসেছে তা নয়, এদিন মিঠুনের জন্য ছিল বেশ কিছু উপহারও। তার মধ্যে একটি হলো বলিউড তারকার ভর্তির কাগজ। ওই স্কুলে তাকে ভর্তি করে আসেন তার বাবা। স্বাক্ষর করে ভর্তি করা হয় তাকে।

সেই কাগজও এত দিন সযত্নে রক্ষিত ছিল স্কুলে। স্কুলের কর্তৃপক্ষ তা খুঁজে বের করেছে এবং সেটি তারা মিঠুনের হাতে তুলে দিয়ে যান এদিন। সেখানে আরও বেশ কয়েক জন ছাত্রের ভর্তির প্রমাণসহ মিঠুনের নামও রয়েছে। এটি দেখেই সবচেয়ে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তারকা। কারণ সেখানে রয়েছে তার বাবার সই।

মিঠুন বলেন, বাবার সইটি দেখে তার মনখারাপ হয়ে গেছে। সবই সেখানে আছে, শুধু তার পাশে এখন বাবা নেই। কিছু দিন আগেই তিনি প্রয়াত হয়েছেন।

বারো ক্লাসে ওই স্কুল থেকে পাস করে যান গৌরাঙ্গ চক্রবর্তী। পরবর্তী কালে যাকে সারা দেশ চিনেছে মিঠুন চক্রবর্তী নামে। তিনি বারো ক্লাস পাস করার পরেও তার সেই উচ্চ মাধ্যমিকের শংসাপত্র এখনও রয়ে গিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছেই। তারা সেটিও এত দিন ধরে সযত্নে রেখে দিয়েছিলেন। সেটিও ‘ডান্স বাংলা ডান্স’-এর মঞ্চে দেওয়া হয় তাকে। সই করে সেই শংসাপত্র গ্রহণ করেন তিনি।

এরপর মিঠুন বলেন, এই মুহূর্তটি তার কাছে খুব দামি। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্কুলের সবাইকে ডেকে নেন মঞ্চে। স্মৃতি হিসাবে রেখে দেয়ার জন্য ছবিও তোলেন সবার সঙ্গে। মেগাস্টারের নিজের তো বটেই, বাকিদেরও চোখ তখন ছলছল।

Leave A Reply

Your email address will not be published.