দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

হবিগঞ্জে বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও ত্যাগী নেতা মফিজ মিয়াকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ

0

স্টাফ রিপোর্টার:হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার ৪নং আদাঐর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের বারবার নির্বাচিত ও ত্যাগি নেতা মফিজ মিয়াকে বাদ দিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার সন্ধ্যায় মৌজপুর বাজারে
৪ নং আদাঐর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি
৩ বার গ্রেফতার হওয়া (প্রথমবার র‍্যাবের হাতে, দ্বিতীয়বার ডিবির হাতে ও তৃতীয়বার পুলিশের হাতে) পুরাতন জোয়ারী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন পরিকল্পিতভাবে পূর্বের কমিটির
ত্রান ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আলী কে সভাপতি ও জারু মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। সামনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন এর মধ্যেই ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা মফিজ মিয়াকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি হঠাৎ ঘোষণা করায় এলাকায় দলের মধ্যে চাঞ্চল্যকর অবস্থা বিরাজ করছে।
তথ্য মতে,, গত ১২ জানুয়ারি ২০১৩ ইং সালে মফিজ মিয়াকে সভাপতি ও জারু মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ৭ নং ওয়ার্ড কমিটি অনুমোদন দেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আ: মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান। পরবর্তীতে মো. হাবিবুর রহমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন। তারপর সভাপতি হাবিবুর রহমান নৌকার বিরুদ্ধে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে তাকে বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে মো. শফিকুল ইসলাম কে দায়িত্ব প্রদান করেন। গত ১২ জুন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের এমপি মো.হাবিবুর রহমানকে ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ-পরিপন্থী কার্যক্রম ও সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমা প্রদর্শন মর্মে পত্র দেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্দেশ অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত পদে যারা দায়িত্ব পালন করছেন সবাইকে “ভারপ্রাপ্ত” বাদ দিয়ে সভাপতি পদে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যৌথ ভাবে ত্যাগী ও প্রবীণ নেতাদের বাদ দিয়ে অর্থ ও পদ-বাণিজ্যের মাধ্যমে তাদের পছন্দমতো হাইব্রিড লোকদের দায়িত্ব প্রদান করছেন। এখানে
থানা ও জেলা আওয়ামীলীগ নিরব ভৃমিকা পালন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, একাধিক ব্যক্তি থেকে জানতে পারলাম যে, জামাত ও বিএনপি’র সমর্থনে মোটা অংকের অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে এই কমিটি ঘোষণা করেন এবং আওয়ামী লীগের কোন মিটিং মিছিলে তাদেরকে কোন সময় এলাকাবাসী দেখতে পান নাই এবং গাজা সেবক ৭ নং ওয়ার্ডের নতুন কমিটির সভাপতি নির্বাচনের সময় হলে টাকার বিনিময়ে জামাত ও বিএনপি’র পক্ষে কাজ করেন, আরো জানা যায় যে, গাজাসেবী ৭ নং ওয়ার্ডের নতুন কমিটির সভাপতি এরশাদ আলীর মূল আস্তানা হলো মৌজপুর দক্ষিণপাড়া(হিন্দু পাড়া) এবং উনার গাঁজা সেবনে হিন্দু পাড়ার লোকজন অতিষ্ঠ, দীর্ঘদিন হিন্দু পাড়া আস্তানা থাকা অবস্থায় এক বিবাহিত হিন্দু মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। বর্তমানে হিন্দু মেয়েকে নিয়ে ঘর- সংসার করেছেন। মাদকসেবক,গাজা, ইয়াবা ব্যবসা ও জুয়ারির কারণে এলাকায়
বারংবার ডাকাতি ও চুরি-ছিনতাই দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। এখন সভাপতির পদ পেয়ে আরও বেপরোয়া ভাবে এলাকায় মাদক ও জুয়ার আসর বসিয়ে জম-জমাট ব্যবসায় লিপ্ত হবে বলে এলাকা বাসীর মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.