গোয়াইনঘাটে সাংবাদিক হত্যা চেষ্টা মামলার আসামির ক্লিয়ারেন্স’ অনিয়মের অভিযোগে এক এএসআইসহ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

জৈন্তাপুর (সিলেট) প্রতিনিধি:সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আসাম পাড়া হাওড় গ্রামের ইউপি সদস্য মো.ইব্রাহিম খান’র ছেলে শাকিল খান (২৫)কে ক্লিয়ারেন্স দাতা দুই পুলিশ সদস্য গোয়াইনঘাট থানার এ এস আই আরিফুজ্জামান ও কম্পিউটার অপারেটর দিবতী ভূষণ দাস কে থানা থেকে প্রত্যাহার করে সিলেট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। শাকিল খান সাংবাদিক মো.দুলাল হোসেন রাজু হত্যা চেষ্টা এজাহারভুক্ত মামলার ৫নং আসামী। বর্তনমানে মামনীয় আদালত থেকে জামিনে রয়েছে। বিচারাধীন মামলা চলাকালীন সময় তার যাবতীয় তথ্য গোপন করে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স’র আবেদন করলে গোয়াইনঘাট থানার এই দুই দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই আরিফুজ্জামান ও কম্পিটার অপারেটর দিবতী ভুষণ দাস অবৈধ পন্থায় শাকিল খানকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স’দেয়। আদালতে বিচারাধীন চলাকালীন সময়ে এজাহারভুক্ত মামলার ৫ নং আসামী কিভাবে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স নিয়ে বিদেশ গমণ করবে। এঘটনায় মামলার বাদী মো.আকবর হোসেন ন্যায় বিচারের স্বার্থে গত ১০ অক্টোম্বর ২০২৩ ইং সিলেট জেলা উপ-পুলিশ মহা-পরির্দশক( ডিআইজি) জেলা পুলিশ সুপার,ও ১১ অক্টোম্বর সহকারী পুলিশ সুপার গোয়াইনঘাট (সার্কেল) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের পেক্ষিতে গোয়াইনঘাট থানা থেকে এএসআই আরিফুজ্জামান ও কম্পিটার অপারেটর দিবতী ভুষণ দাসকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে বলে জানান, গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেএম নজরুল ইসলাম তিনি বলেন,সিলেট জেলা পুলিশ সুপার ও ডিআইজি স্যারের দিক নির্দেশনায় আমরা প্রত্যেকটি ইম্রেগ্রেশন পুলিশের কাছে চিটি পাঠিয়ে দিয়েছে।, শাকিল খান মামলার আসামী যাতে করে সে বিদেশে গমণ করতে না পারে এ বিষয়ে আমরা সর্তক রয়েছি। শাকিল খানের গ্রামের বাড়ী আসাম পাড়া হাওড় নতুন বাজারস্থ হলেও কৌশলগত কারণে চেয়ারম্যান’র নাগরিকত্ব সনদ,ভোটার আইডি কার্ড,পাসফোট সানকী ভাঙ্গা গ্রামের নামে কেন? জানতে চাইলে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি শাকিল । স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,শাকিল খান পুলিশ ক্লিয়ারেন্স হাতে পেয়ে রানা ট্র্যাভেল’র মাধ্যামে ৩ মাসের জন্য ভারতের ভিসা নিয়ে তামাবিল ইমেগ্রেশন দিয়ে ভারতে চলে যাবে। ভারতে গিয়ে পর্তুগালের ভিসা লাগাবে পরবর্তীতে জাতীয় নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে এসে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দিবে সাংবাদিক রাজু ও তার পরিবারের লোকজনসহ মামলা স্বাক্ষীদের উপর হামলার প্রস্তুতী নিতে পারে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলছে শাকিল খান বিদেশ গিয়ে আত্নগোপনে থাকতে পারে। তাই শাকিল খানের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স বাতিল করে বিদেশ গমণ বন্ধ করা না গেলে উক্ত মামলার বাদী মো. আকবর হোসেন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবে। উল্লেখ্য: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের আসাম পাড়া গ্রামে গত ৩০ মার্চ,২০২৩ইং সন্ধ্যা ৬.২০ ঘটিকার সময় মো.নুরুল হক খান’র বাসায় ইফতারের দাওয়াতে গেলে পূর্ব শুত্রুতার জেড় ধরে পরিকল্পিতভাবে জৈন্তাপুর প্রেসক্লাব’র ও বৃহত্তর জৈন্তা ইলেকট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক,ইংরেজী দৈনিক দি নিউনেশন ও প্রতিদিনের সংবাদ’র প্রতিনিধি মো.দুলাল হোসেন রাজুকে প্রাণে হত্যার নির্দেশ দেয় ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খান। ইব্রহিম খানেরে নিদেশে তার ছেলে শাকিল খান ও রাহাদ খান, আমির খান, সোলেমান খান, ইনছান খান, আনোয়ার খানসহ অঞ্জাতনামা আরো ৪/৫ জন সাংবাদিক রাজুকে প্রাণে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় শাকিল খান রাজুর প্যান্টের পকেটে থাকা ২০’হাজার ৫’শত টাকা জোড় পূর্বক ভাবে ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় সাংবাদিক রাজু’র ভাই মো.আকবর হোসেন বাদী হয়ে হামলার নির্দেশ দাতা আসাম পাড়া গ্রামের মৃত রুস্তম খান’র ছেলে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম খানকে প্রধান আসামী করে পহেলা এপ্রিল ২০২৩ ইং তারিখে আরো ৬জনের নাম উল্লেখ করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যাচেষ্টা ও চুরির মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার এস আই মো.শাহজাহান মিয়া দীর্ঘদিনের তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পর্যলোচনা করে ৭ জনের নামে আদালতে চার্জসীট দাখিল করেন। গোয়াইনঘাট থানার মামলা নং ১/৪/২০২৩ইং জি আর নং৮৩।