দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

জেল হত্যা দিবসে উপজেলা আওয়ামী লীগের হীনমণ্যতা বিদ্যমান দৃষ্টে এর অবসান চান বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজীয়ার রহমান

0

 

স্টাফ রিপোটার : জেল হত্যা দিবসে উপজেলা আওয়ামী লীগের হীনমণ্যতা বিদ্যমান দৃষ্টে এর অবসান চান বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজীয়ার রহমান। এ নিয়ে তার ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করেন, আজ মহান জেল হত্যা দিবস । এই দিবসটি উদযাপনে বিভক্ত উদযাপন অনুষ্ঠান হওয়ায় আমরা মুক্তিযোদ্ধাগন দারুন ব্যধিত ও লজ্জিত। ইহাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের হীনমন্যতার পরিচয় ফুটে উঠেছে। আমরা এর অবসান চাই।
জাতীয় বীর,বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজীয়ার রহমান এর ফেইসবুক পোস্টে’র প্রতুত্তোরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন বাদশা তার ফেইসবুকে লিখেছেন- বিশ্ব ইতিহাসে জঘন্যতম নারকীয় হত্যাকান্ড ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবসে জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন,এই হত্যাকান্ডের মাষ্টার মাইন্ড খুনী জিয়া-মোস্তাকের মরনোত্তর বিচারের দাবী করেন।

তিনি পোস্টের বিপরীতে আরও লিখেছেন তাহা হুবুহু তুলে ধরা হলো-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস-২০২৩ ইং যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐক্যবদ্ধ ভাবে পালন করতে না পারায় বয়োবৃদ্ধ বীর মুক্তিযোদ্ধা হ’য়ে আপনার আবেগ অনুভূতিতে বুকে রক্ত ক্ষরণের কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ,সরিষাবাড়ি উপজেলা শাখা’র নেতৃত্বকে ঘৃণা ভরে ভদ্রোচিত ভৎসনা করেছেন।
আমি শাখা সংগঠনের সভাপতি হিসাবে সংগঠণিক দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে ধৈর্য, সহিষ্ণুতা,সৃজনশীল মানসিকতা নিয়ে রাষ্ট্রীয়,জাতীয়,দলীয়, সামাজিক কর্মসূচী নিষ্ঠার সাথে পালনে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শ, নেতা শেখ হাসিনা এবং আদর্শিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি বুকে ধারণ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ঐক্যবদ্ধ হ’য়ে অনুপ্রবেশীদের অসাংগঠনিক অপতৎপরতা ঠেকানোর পবিত্র দায়িত্ব পালন করে চলছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন’কে হাজির-নাজিরে বুকে হাত রেখে একমাত্র আমিই বলতে পারি ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সভাপতি, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি, থানা শাখার যুন্ম সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক ও সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, থানা আওয়ামী যুবলীগ সভাপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের ২২ বৎসর সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালনে সতীর্থ রাজনৈতিক সহকর্মীদের সাথে নিয়ে ব্যারিস্টার আব্দুস সালাম তালুকদারের সন্ত্রাসী বাহিনী মোকাবিলা করে আজবধি সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করে দীর্ঘ ৪৭ বৎসর রাজনৈতিক জীবনে এক সেকেন্ডের জন্য সংগঠনের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা বা বেঈমানীর সাথে আপোষ করিনি।
এক্ষেত্রে ঐক্য প্রক্রিয়া অবলম্বন অনিবার্য হলেও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনা’র অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সাধারণ মানুষের কাছে শেখ হাসিনা’র গ্রহণ যোগ্যতার মওকা নিতান্তই নিজের মনে করে সাংগঠনিক নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজের যোগ্যতা প্রকাশে মরিয়া হ’য়ে জনপ্রতিনিধি হবার কুটচালে মগ্ন হয়ে সাংগঠনিক কাঠামো বহির্ভূত কাজে লিপ্ত থেকে ঐক্য প্রক্রিয়াকে বিঘিœত করছেন।
দুঃখ জনক হলেও সত্যি যে, সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব দলীয় সরকারের রাষ্ট্রীয়, জাতীয়, দলীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের সিংহভাগ কর্মসূচীতে উপস্থিত না থাকলেও নির্বাচনে প্রার্থীতার প্রশ্নে পছন্দের প্রার্থীর সাথে সময় দিতে কৃপণতা না করে দেশরতœ জননেত্রী শেখ হাসিনার অভূতপূর্ব উন্নয়ন, অগ্রগতি, সমৃদ্ধি টেকসই শক্তিশালি অর্থনীতি আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে বঙ্গবন্ধু’র আরাধ্য সাধনা শোষনহীন সোনার বাংলা গড়ার কথা না বলে একে-অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে অপাংক্তেয়,অনাকাংক্ষিত আচার-আচরণ কথাবার্তা ব’লে নিজে ধ্বংস হচ্ছে এবং দলকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
প্রিয় বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজীয়ার রহমান সাহেব,
আপনার অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই সবিনয়ে বলতে চাই…
আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের উত্তরসূরী বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল, সৎ প্রধানমন্ত্রীর তিনজনের একজন, প্রভাবশালী বিশ্ব নেতাদের তালিকায় দেশরতœ শেখ হাসিনা’র তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে প্রতিটি নির্বাচনী আসনে প্রার্থীতা নির্বাচনে কেউ-ই অনিবার্য না হলেও…স্হানীয়ভাবে কেমন জানি আমাদের অসহিষ্ণু আচরনের কারণে ঐক্যবদ্ধভাবে ” শোকাবহ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস ” যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে পারলাম না।
রাজনৈতিক বিবেচনায় সংগঠনের খাদেম হিসাবে সভাপতি’র পবিত্র দায়িত্ব পালন করে দলীয় নিজস্ব অফিস না থাকায় সভাপতির সাংগঠনিক ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ নেতৃবৃন্দ নেতা-কর্মী, অঙ্গ, সহযোগী সংগঠনের সন্মানিত নেতৃবৃন্দ নেতা-কর্মী সমর্থক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগন ও সন্মানিত বিশিষ্টজনের উপস্থিতিতে ” শোকাবহ ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস” যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার যৌক্তিক ব্যবস্থা করেছিলাম। প্রযুক্তির কল্যাণে নিশ্চয়ই সফল কর্মসূচী দেখে থাকবেন।
পরিশেষে আপনার বরাবরে সবিনয়ে প্রশ্ন রাখতে চাই…
সরকার দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব যখন রাষ্ট্রীয়, জাতীয়, দলীয় ও স্হানীয় সামাজিক কর্মসাচীতে অংশ গ্রহণ করে না!! তখন কোন্ বিবেচনায় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাথে নির্বাচনী কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট থাকেন…???
আপনার পোস্টের জবাব দেবার সুযোগে অসাংঠনিক কর্মতৎপরতার অবসানের ক্ষেত্র তৈয়ারীতে তাঁদেরকেই আপনার মুখোমুখি করার জন্য অনুরোধ রইলো।
আপনার দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.