স্টাফ রিপোর্টার: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার না করায় স্ত্রী মিনা ও তার পরিবারের লোকজনকে মারধর ও রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১৫(নভেম্বর) জামালপুর সদর থানার অন্তর্গত ছোনটিয়া বাজারের পশ্চিম উত্তর পার্শ্বে ব্রীজ সংলগ্ন জনৈক মোহাম্মদ আলী রাইচ মিলের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার মহাদান ইউনিয়নের মহাদান গ্রামের খলিলুর রহমান এর মেয়ে তাহমিনা আক্তার মিনার সাথে ১০ বৎসর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার উত্তর কুমারিয়াবাড়ী গ্রামের নছর মন্ডলের ছেলে আমিনুর ইসলাম বাবুর বিবাহ বহুনে আবদ্ধ হয়।
বিবাহের পর ঘর সংসার করাবস্থায় একটি কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। দীর্ঘ দিন মিনা ও তার কন্যা সন্তানের ভরন-পোষন না দিয়ে মিনার কাছে ৩,০০,০০০/-(তিন লক্ষ) টাকা যৌতুক দাবী তার বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়ে গত ১৩/০৭/২০২৩ ইং তারিখে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিবাহ করে। এ কারণে বাবুর বিরুদ্ধে স্ত্রী মিনা লিগ্যাল এইড এর মাধ্যমে ৬(৫) ধারায় সি.আর ২৫৪(১)২০২৩ নং মোকদ্দমা করে । বাবু ওই মামলায় আদালতে হাজিরা না দিয়ে মিনার বাবার বাড়ীতে এসে মামলা উত্তোলনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে।মিনা মামলা তুলতে রাজী না হওয়ায় তাকে মারপিট করে চলে যায়। এ ঘটনায় সরিষাবাড়ী থানায় আমিনুর ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৪.০৮.২০২৩, জি, আর মোকদ্দমা নং-২০৬(২)২০২৩, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং/২০২০) এর ১১(গ)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করে স্ত্রী মিনা।ওই মামলায় কয়েক জন আসামী জামিনে রয়েছে। তাহারা জামিনে এসে মিনার দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য বিভিন্ন ভাবে ভয় ভীতি ও হুমকি দিয়া আসতেছিল। গত ১৫ নভেম্বর তারিখে মিনা ও তার মা কল্পনা বেগম ও মামা ওবায়দুল্লাহ মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে পথিমধ্যে জামালপুর সদর থানার অন্তর্গত ছোনটিয়া বাজারের পশ্চিম উত্তর পার্শ্বে ব্রীজ সংলগ্ন জনৈক মোহাম্মদ আলী রাইচ মিলের দক্ষিণ পার্শ্বে রাস্তায় পৌছা মাত্রই বাবূ ও তার লোকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সিএনজি গাড়ীর গতি থামিয়ে ঘেরাও করে সিএনজি হইতে জোরপূর্বক নামিয়ে এলোপাথারী কিল-ঘুষি ও লোহার রড দিয়ে অনবরত মারিতে থাকে। একপর্যায়ে বাবু তার স্ত্রী মিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা লক্ষ্য করে খোর দিয়া ফেস মারলে কপালে লাগিয়া লম্বালম্বি মারাত্মক গুরুত্বর রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে মোস্তফা গলা চেপে ধরে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মিনার মা কল্পনা বেগম ও মামা ওবায়দুল্লাহ ফিরাতে গেলে তাদের কেও এলোপাথারিভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মাইরপিট করে চুলের মুঠি ধরে টানা হেচড়া করে বিবস্ত্রসহ শ্রীলতা হানি করে। তাদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। মিনা কে আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় দ্রুত সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত্ব ডাক্তার মিনার কপালে ৪টি সেলাই দেয় এবং ভর্তি করে। ভুক্তভোগী পরিবারটি দোষীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।