এস.এম আব্দুর রাজ্জাক
ধনবাড়ী উপজেলার বলিভদ্র ইউনিয়নের শেষ সীমানা কেরাম জানি মধ্যপাড়া ঝিনাই নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে ধনবাড়ী উপজেলার কেরামজানি ঝিনাই নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি চক্র। এতে নদীর তীরবর্তী রাস্তার,বাড়ীঘর ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ার হুমকিতে রয়েছে। এ ছাড়া এভাবে বালু তোলায় প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া উপহার দেওয়া সরিষাবাড়ী উপজেলার শেষ সীমানায় ঘর গুলো যে কোন সময় নদীদে বিলিন হতে পারে। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নদী থেকে বালু তোলার জন্য সরকারিভাবে কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বলিভদ্র ইউনিয়নের কেরামজানি মধ্য পাড়া ঝিনাইন নদীতে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। যেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে, এর চারপাশে প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া উপহার গীহহিনদের ঘর,কেরামজানি সরিষাবাড়ী উপজেলার মানুষের যাতায়েতে একমাত্র রাস্তা ও ফসলি জমি। যে স্থান থেকে বালু তোলা হচ্ছে, সেখানে নদীর গভীরতাও বেশি। কয়েকটি স্থানে নদীর পাড় ভেঙে গেছে। সেখান থেকে অল্প অল্প ভেঙে রাস্তা ও ফসলি জমি নদীতে পড়ে যাচ্ছে। ফসলি জমির ওপর দিয়ে পাইপ টানা হয়েছে। বালু তোলার কারণে ফসলি জমি ভেঙে নদীর আকার বড় হচ্ছে। নদী থেকে এক-দুই কিলোমিটার দূরে বালু গিয়ে পড়ছে।
কেরামজানি এলাকার এক কৃষক বলেন, নদী থেকে বালু তোলার কারণে ক্রমে ফসলি জমি রাস্তা ভেঙে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। আর বর্ষা মৌসুমে ব্যাপক ভাঙন দেখা দেবে।
কেরামজানি এলাকার আরেকজন বলেন, বালু তোলার কারণে নদীর গতিপথ হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবছর বর্ষায় নদীতে ফসলের জমি, রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। নদীর আশপাশে বহু কৃষকের জমি এখন নদী হয়ে গেছে। একজন কৃষক বালু তোলার প্রতিবাদ করেছিলেন। তাঁকে ওই চক্র নানাভাবে হয়রানি করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কৃষকেরা বলেন ড্রেজার মারিকরা সবাই বিত্তশালী। তবে কারও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পান না। এক বছর আগে একবার ধনবাড়ী উপজেলা প্রশাসন ওই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছিল। এরপর আর কখনো প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী, পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। এ ছাড়া সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।