স্টাফ রিপোর্টার: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নৌকার পক্ষে কাজ করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী’র ট্রাক প্রতিকের লোকজনের দাপটে বিপাকে পড়েছেন জালাল উদ্দিন জালু নামে এক কৃষক লীগ নেতা।তিনি সরিষাবাড়ী উপজেলার পৌর এলাকার সাতপোয়া মধ্যপাড়া গ্রামের বসবাসকারী। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশীদ এমপি’র অনুসারী হাবেল মিয়া’র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন জালু।বিপাকে পড়া জালাল উদ্দিন জালু উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী জালাল উদ্দিন জালু অভিযোগ করে বলেন,সরিষাবাড়ী টিএ্যান্ডটি বোর্ডের অধীন কিছু ভ’মি পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। এতে জালাল উদ্দিন জালু এনজিও থেকে ঋন নিয়ে প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যায় করে ৪ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে ওই পরিত্যাক্ত ভ’মিতে বর্ষাকালে মাছ চাষ ও বোর মৌসুমে বোর ধান চাষ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জিবীকা নির্বাহ করে আসছে। আসছেন। গত ৭ জানুয়ারী ১৪১ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছা সেবক লীগের কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী কমিটির মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী’র পক্ষে কাজ করেন উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দিন জালু।
এ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলাল পরাজিত হন। নির্বাচনে এ আসনে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশীদ স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক) প্রতিক বিজয়ী হয়। বিজয়ী হওয়ার পর থেকেই তিনি বিজয়ী প্রার্থীর সর্মথকদের নানা হুমকি-ধামকি’র এক পর্যায়ে তার দখলে রাখা সরকারী ভ’মিতে চাষ করা মাছ ধরতে ও বোর ধান রোপন করতে নিষেধ করেন হাবিল মিয়া। যার ফলে জালু মিয়া সময়মত ধানের চারা রোপন করতে না পারায় প্রায় দেড় হাজার টাকা ধানের চারা পচে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ বিষয়টি কৃষক লীগ নেতা জালু পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান ও প্রভাষক রফিকুল ইসলাম কে জানালেও তাদের পক্ষ থেকে কোন প্রকার প্রতিকার জুটেনি বলে গত মঙ্গল বার (২৭ ফেব্রƒয়ারী ) রাতে জালাল উদ্দিন জালু সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন। তিনি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতাদের নিকট আশু দৃষ্ঠি কামনা সহ তার দখলে রাখা সরকারী ভ’মি নির্বিঘেœ ব্যবহারের দাবী জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে হাবিল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে মোবাইল ফোনে ফোন করা হলে তার মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনার অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।