দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

ধনবাড়ী ইটের ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় কৃষকের ধান পুড়েছে

0

মো: জাহিদ হাসান

ধনবাড়ী,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর বানিয়াজানে ইটভাটা থেকে নির্গত বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার কারণে ভাটার আশপাশের ৫ থেকে ৬ একর জমির সকল কাঁচা-পাকা সোনালি ধান পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষক। ক্ষতিপূরণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

সরেজমিন বানিয়াজান গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আলাল উদ্দিন, আজিজুল শেখ, ভানু বেগম, বাবুল ইসলাম, হুসেন আলী, রুবেল হোসেন ও ময়নাল মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করে জানান, তিন ফসলি জমিতে সরকারিভাবে ইটভাটা নির্মাণ অবৈধ হলেও সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইটভাটা নির্মাণ করে ইট তৈরি করে রমরমা ব্যবসা করে যাচ্ছে সাবিব ইটভাটা কর্তৃপক্ষ। ইটভাটার পাশের আমাদের এলাকার সকল কৃষকের পাকা সোনালি ধান কিছু দিন পরেই কেটে ফসল ঘরে তুলতে হবে। এই অবস্থায় ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া, ছাই ও গ্যাসের কারণে ক্ষেতের সকল ধান পুড়ে চিটা হয়ে গেছে। ফলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছি।

ইটভাটার মালিকপক্ষকে বলেও কোনো প্রকার সুরাহা পাওয়া যায়নি। আমরা এই কৃষকরা এখন ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের এই ধান কেটে ফসল ঘরে তোলার মতো উপায় নেই। বিঘাতে তিন চার মণ ধান উৎপাদন হবে কি না

সন্দেহ। এতে করে আমাদের ছেলেমেয়েদের পড়ালেখা, সংসারে ব্যয় তো দূরের কথা শ্রমিক খরচই উঠবে না। তাই আমরা ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখন এই ঘটনায় সরকারিভাবে আমরা ক্ষতিপূরণ চাই।

কৃষক আলাল উদ্দিন ও ময়নাল হোসেন বলেন, এই সাবিব ইটভাটার কারণে আমাদের এলাকার নারিকেল, সুপারি, লেবুসহ সব ধরনের ফলের গাছে ফল আসছে না। সেই সাথে গাছের পাতা পুড়ে মরে যাচ্ছে গাছ। এ ব্যাপারে সাবিব ইটভাটায় গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি

টের পেয়ে দ্রুত গা ঢাকা দেয় ভাটা কর্তৃপক্ষ। ভাটা ম্যানেজার রাকিবুল ইসলামের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদুর রহমান জানান, তিন ফসলি জমিতে ইটভাটা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি আমি মৌখিকভাবে জানামাত্রই ওই এলাকার ব্লক সুপারভাইজার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য। আমি নিজেও সরেজমিন গিয়ে ঘটনাটি দেখব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই ইটভাটার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.