দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবল থেকে নান্দাইলকে বাঁচানোর এখনি সময়

0

 

হাফেজ শাহ্ মিজানুর রহমান তালুকদার হারুন
নান্দাইল ময়মনসিংহ থেকে
বৃহত্তর ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহি উপজেলা নান্দাইল। যেখানে রয়েছে ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা। এখানে প্রায় পোঁনে পাঁচলক্ষ মানুষের বসবাস থাকলেও তুলনামূলক অবকাটামোগত উন্নয়ন আজো হয়নি।
বিগত ১০ বছর আওয়ামীলীগ সরকার সারাদেশ উন্নয়নের জোয়ারে বাসালেও ব্যতিক্রম রইল নান্দাইল।
বিশেষকরে রাস্তা ব্রীজ কালভার্ট ও পরিকল্পিত হাট-বাজারের উন্নয়নে ধস বললেই সারে। নান্দাইলে এখনো চার-পাঁচশত কাঁচা সড়ক রয়েছে যা শুনলে বর্তমানে অন্যসব এলাকার মানুষ বিশ্বাসি করার কথানয়।
কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ হলেও উপজেলার প্রধান বাজারে জলাবদ্ধতা দুর হয়নি। এদিকে পৌরশহরের কাঙ্খীত উন্নয়ন এখনো স্বপ্নের ঘরে। কাগুজে প্রথম শ্রেণীর পৌরসভাতে এখনো পাবলীক টয়লেট কি তা নাগরীকরা জানেওনা, রয়েছে অসংখ্য কাঁচা ও ভাঙ্গা রাস্তা।
অপরদিকে সরকারের বড় সাফল্য বিদ্যুৎতের অবস্থা নান্দাইলে একবারে নাজুক অবস্থানে রয়েছে। নান্দাইলের গ্রাহক বিদ্যুৎতের প্রাপ্য সেবা ও সুবিধাথেকে বঞ্চিত সেই ১৯৮২সাল থেকেই। বর্তমানে গ্রাহক বাড়ায় কয়েক বছর যাবৎ তা অসহনীয় পর্যায়ে চলে আসছে। মাত্রাতিরিক্ত ও দ্বারাবাহিক লোডশেডিংয়ের ফলে গরমে অতিষ্ঠতার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে সব ধরণের শিক্ষাব্যবস্থা, ব্যবসা-বানিজ্য ও স্বাস্থ্যসমস্যা সহ সর্ববিদ কষ্টে জনগণ।
বর্তমানে ইউপি পর্যায় ১০-১৫বারে ৮/১০ঘণ্টা বিদ্যুৎ সর্বরাহ করছে বলে মনেহয়। পৌরসভাতে কিছুটা ভাল দিলেও তাও পরিমানে যতেষ্ট ও সন্তোষ জনকনয়। এজন্য সাবেক এমপিগণ, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষহতে বার বার পদক্ষেপ ও কর্মসূচী নেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কর্তৃপক্ষের সাথে যতবারেই যোগাযোগ ও জিজ্ঞাসা করাহয় ততবারেই নানান অজুহাত তথা এক ধরনের জবাবি পাওয়াযায় যার প্রধানটি হলো প্রয়োজনমতো বরাদ্ধ না পাওয়া। ফলে কর্তৃপক্ষকে বাধ্যহয়েই লোডশেডিং দিতেহয়। যা শুনতে লিখতে এখন আর মনচায়না। মূলত এইভাবেই চলছে বছরের পর বছর। সারাদেশে বিদ্যুৎ’র উন্নয়ন হলেও নান্দাইলের পরিস্থিতির কোন রকম উন্নতি হচ্ছেনা।

উন্নতির হিসাব একটাই পাওয়া যায় তাহলো নান্দাইল বিদ্যুতায়নের এই ৩২বছরে মাত্র কয়েক হাজার গ্রাহক থেকে এখন প্রায় সোয়ালক্ষ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে।
যাকে বলাহয় শতভাগ বিদ্যুতায়ণ কিন্তু শতভাগ বিদ্যুতের মাঝে গ্রাহক গড়ে ৫০ভাগ কারেন্ট পাচ্ছেনা কেন?
নান্দাইলে চাহীদার অনুপাতে বিদ্যুৎ সর্বরাহ না থাকার পিছনে বোদ্ধামহল যাকে সনাক্ত করতে পেরেছে বলে মনেহয় তার প্রধানটি হলো কিশোরগঞ্জ পল্লিবিদ্যুৎ সমিতির অধিনস্ত হওয়ায়।
অতঃপর, সঞ্চালন লাইনে পর্যাপ্তত্রুটি জনবলের অভাব ও কর্তৃপক্ষের উদাসিনতা।
এছাড়াও রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ যা গণমাধ্যমে বার বার উঠে আসলেও তেমন কোন প্রতিকার মিলেনি গ্রাহকের।
এ অবস্থা চলতে পারেনা, এটা স্মার্ট নান্দাইল তো দূরের কথা কোন প্রকার সাফল্যের লক্ষণ নয়। এটা স্পষ্টতর জনভোগান্তি ও ক্ষতিকর যা থেকে উত্তরণের সূবর্ণ সুযোগ এখনি।
কারণ, অতিতে আমাদের যা ছিলনা, যা ছিল শুধুই স্বপ্ন, আজ তা আছে আর সেটা হলো ‘মন্ত্রীত্ব’ আল হামদুলিল্লাহ্।
সুতরাং নান্দাইলবাসির একান্ত আস্থা ও ভালবাসা এবং ভরসাস্থল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল অবঃ আব্দুস সালাম। আমরা সু শ্রদ্বেয় অভিভাবকের কার্যকর হস্তক্ষেপে বিদ্যুৎসহ সকল প্রকার সমস্যা থেকে নান্দাইলবাসি পরিত্রাণ পাবেবলে আশাকরি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.