স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে দাবীকৃত টাকা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর ছেলে কে হত্যার চেষ্টার ঘটনার অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের খোকন রেজা(খোকা)। এ ঘটনায় সোমবার (২৭ মে) ভুক্তভোগী পরিবারের খোকন রেজা(খোকা) বাদী হয়ে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। উক্ত অভিযোগে সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে আলমগীর কে বিবাদী করে অপর ৩ সহযোগীসহ ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরোও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনাটি রোববার (২৬ মে) রাতে সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে জনৈক দেলসাদ এর বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
পুলিশ ও অভিযোগে সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবুল কাশেম এর ছেলে আলমগীর এর সাথে একই গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে খোকন রেজা খোকা দীর্ঘ দিন যাবৎ ধান ও ভূট্টার ব্যবসা করে আসছিল।এরই ধারাবাহিকতায় আলমগীর মাঝে মধ্যেই কোন কারণ ছাড়াই খোকার নিকট বিভিন্ন সময়ে টাকা দাবী করে আসছিল। আলমগীর এর চাহিত টাকা না দেওয়ায় খোকার প্রতি শত্রুতা পোষণ করে তার পরিবারের সদস্যদের জান মালের ক্ষতি করার সুযোগ খুজতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় রোববার (২৬ মে) খোকার ছেলে ডোয়াইল কাজী সদর হাফিজিয়া মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র শ্রাবণ মিয়া (১২) মাদ্রাসার মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে নিজ বাড়ীতে ফেরার পথে পথিমধ্যে সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল বাজারের পশ্চিম পার্শ্বে জনৈক দেলসাদ এর বাড়ীর পার্শ্বে রাস্তায় পৌঁছা মাত্রই আলমগীর পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে শ্রাবণ মিয়া কে ডাক দেন ।
তার ডাকে সাড়া যেতে না দেয়ায় টাকা দাবীকারী আলমগীর শিক্ষাথী শ্রাবণ মিয়াকে চড় মারে এবং নানা ভয়ভীতি হুমকী দিয়ে আলমগীর সহ তার ৩/৪জন সহযোগীদের সহায়তায় দেলসাদ এর বাড়ীর পশ্চিম পার্শ্বে বিভিন্ন গাছের ঝুপঝাড়ের ভিতর জোরপূর্বক নিয়ে শ্রাবণ এর হাত ও পা রশি দিয়া বেঁধে ফেলে এবং শ্রাবণের মুখে গামছা গুজিয়া দিয়া কষস্টেপ দিয়ে মুখ প্যাচিয়ে ফেলে মারধর করে এবং তাদের হাতে থাকা ধারালো চাকু ও লোহার ধারালো দা দিয়ে হত্যা করার হুমকি দেয়। এ সময় শ্রাবণ মিয়ার কোকড়ানি ও চিৎকার করলে পথচারীরা এগিয়ে এলে দুস্কৃতিকারীরা লোহার ধারালো দা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জখম প্রাপ্ত অবস্থায় স্থানীয়দের সহায়তায় শ্রাবণ কে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান জানান, ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।