আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ইসরায়েলি বাহিনী রাফাহ পশ্চিমে ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ একটি তাঁবু শিবিরে গোলা বর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের ওপর এই সর্বশেষ গণহত্যায় ১৩ জন মহিলা ও মেয়ে শিশুসহ কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৩৫ হাজার ৯৬ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮১ হাজার ১৩৬ জন আহত হয়েছে। হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১১৩৯, যেখানে কয়েক ডজন লোক এখনও গাজায় বন্দী রয়েছে।
এর আগে গত রবিবার রাফাহতে ইসরায়েলের বিমান হামলার বহু ফিলিস্তিনি নিহত হয়। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন নিহত হয়েছে এবং আরও শতাধিক গুরুতর পোড়া, হাড় ভেঙে যাওয়া এবং ছুরির ক্ষতের জন্য চিকিৎসা করা হয়েছে।
এ হামলায় আন্তর্জাতিক নিন্দার মধ্যেই হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
এদিকে স্পেন, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ায় রাফাতে ইসরায়েলের স্থল আগ্রাসনের বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
জাতিসংঘ বলেছে, তারা গত তিন সপ্তাহে প্রায় ১৭০ ট্রাক মানবিক সহায়তা পেয়েছে, যেখানে প্রতিদিন প্রয়োজন ৫০০ ট্রাক থেকে ‘সমুদ্রে ড্রপ’।
মে মাসের প্রথম দিকে ইসরায়েলের আগ্রাসন এক মিলিয়ন মানুষকে রাফাহ থেকে পালাতে বাধ্য করেছে, যাদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যে গাজায় ইসরায়েলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের কারণে বেশ কয়েকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।