এস.এম.আব্দুর রাজ্জাক:
টাঙ্গাইল ১ মধুপুর ধনবাড়ী এলাকার জনগণ। ২০০১ সালে যখন ডক্টর রাজ্জাক সংসদ সদস্য হিসাবে আমাদের সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করেন তখন মধুপুর ধানবাড়িতে তার কোন বসত বাড়ি ছিল না ঢাকা থেকে একটা ভাঙ্গা স্টেশন ওয়াগান ৯০ মডেলের গাড়ি নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় আসতেন ২০০৬ সাল পর্যন্ত সাধারণভাবেই চলাফেরা করতেন। তার আত্মীয়স্বজনরা দিন এনে দিন খেয়ে, না খেয়ে, অতি কষ্টে জীবন যাপন করতেন। ২০০৮ নির্বাচনের পর খাদ্যমন্ত্রী দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই এই ১৫ বছরে দুইবার মন্ত্রী হয়েছেন সময়ের সাথে সাথে ভুল পান্টে হয়ে যান ত্যাগী নেতা, তিনি ও তার আত্মীয়-স্বজনরা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বলে যান।। ধনবাড়ী উপজেলার মুর্শিদি এলাকায় জায়গা কিনে প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয় করে সুইমিংপুল সহ করেছেন বিলাশ বহুল অট্টালিকা।
সাবেক এমপি কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক ও তার পরিবারের শত শত দুর্নীতি ও অপকর্মের মধ্যে নিম্নে অতি
সংক্ষিপ্তভাবে কয়েকটি উল্লেখ করা হইল:-
১। ধনবাড়ী উপজেলার মোরশিদ্দি এলাকায় নদী দখল করে তার মায়ের নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ফলে ওই এলাকায় পানির জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এই বিষয়ে এলাকাবাসী জাতীয় নদী কমিশনে লিখিত আকারে অভিযোগ দিয়েছিলেন কিন্তু মন্ত্রীর পাওয়ার এ উক্ত অভিযোগ তদন্ত করতে দেননি।
২। ডক্টর রাজ্জাকের আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে শোনা যায় আমেরিকাতে তার ১৮টি পেট্রোল পাম্প, সুপার-শপ সহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ৩। ডক্টর রাজ্জাক মধুপুর ধনবাড়ীর ভাইঘাট পালবাড়ী এলাকার মতি ড্রাইভারের ছেলে রাব্বির মাধ্যমে নামে বেনামে ঢাকার গুলশান ও বনানীতে প্রচুর ফ্ল্যাট রয়েছে। কথিত আছে ডক্টর রাজ্জাক সাহেবের স্ত্রী যে গাড়িটি ব্যবহার করেন সেই গাড়িটির নাম্বার রাব্বির নামে করা। রাব্বির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা তিনি বিদেশে পাচার করেছেন রাব্বি স্ক্যামিং পর্নোগ্রাফি ব্যবসা করেন, যার ফলে গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রাব্বির নামে সিআইডি থেকে মামলা করা হয়েছিল ডঃ রাজ্জাকের টাকা পাচারের মূল কারিগরদের মধ্যে রাব্বি একজন। রাব্বি ডক্টর রাজ্জাকের খুব বিশ্বস্ত। তাই সে যেন মামলায় ধরা না পড়ে সেই কারণে ডক্টর রাজ্জাক মন্ত্রী থাকা অবস্থায় ৩৫ নং হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে রাব্বিকে আত্মগোপন করে রাখেন। পরবর্তীতে তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে মামলা থেকে রাব্বির নাম কাটিয়ে দেন।। রাব্বি কে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন। তাছারা ডক্টর রাজ্জাকের আমেরিকার ও সুইডেন প্রবাসী ভাইদের কাছেও অবৈধ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।
৪। ডক্টর রাজ্জাকের খালাতো ভাই হারুনোর রশিদ হীরাকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে দলীয় নেতা কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছিলেন এবং সে ছিলেন মধুপুর ধনবাড়ীর স্বঘোষিত সম্রাট তার কথায় মধুপুর ধনবাড়ীর সকল কিছুই নিয়ন্ত্রণ হইতো এই ১৫ বছরে হিরা মিয়ার সম্পত্তি বেড়েছে ৫৮০ গুণ তার নির্বাচনী হলফনামা দেখলেই বুঝতে পারবেন। তাছাড়াও ঢাকাতে বসুন্ধরায় দশতলা দুটি বিন্ডিং করেছেন। নামে বেনামে রয়েছে প্রচুর সম্পত্তি ও ব্যাংক ব্যালেন্স।
ডক্টর রাজ্জাকের আরেক খালাতো ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার বিআরটি তে চাকরি করতেন ওয়ান ইলেভেনের সময় দুর্নীতি দায় তার চাকরি চলে যায় ২০০৯ সালে ডক্টর রাজ্জাক খাদ্যমন্ত্রী হওয়ার পর শহীদুল্লাহ কায়সারের চাকরি ফেরত পায় এবং ডক্টর রাজ্জাকের সহযোগিতা তাকে বি আর টি এর পরিচালক করা হয়। সে তিতাস ফিলিং স্টেশন নামে কয়েকটি ফিলিং স্টেশন সহ ঢাকাতে আট থেকে দশটা ফ্লাট সহ নামে বেনাম প্রচুর টাকার মালিক হয়েছেন।
৬। ডক্টর রাজ্জাক সাহেবের আরেক খালাতো ভাই দেলোয়ার বিআরটি থেকে অবৈধ ঘোষ বাণিজ্যের মাধ্যমে ঢাকায় করেছেন অসংখ্য ফ্লাট ও বাড়ি।
৭। ডক্টর রাজ্জাকের আরেক খালাতো ভাই রুনু মিয়া সে আগে গার্মেন্টসের প্যান্ট এর চেইন এর কাজ করতো তার এখন সুইডেন অঢেল সম্পত্তি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের যে কোন বড় কাজ যেকোনো বড় টেন্ডার যেকোনো ম২ম এর কাজ রুনু সাহেবের মনোনীত কোম্পানি ছাড়া হইতো না।
৮। ডক্টর রাজ্জাকের আরেক মামাতো ভাই নূরানী কনস্ট্রাকশনের মালিক খন্ধকার তারেক সকলের চোখে দুলা দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান তার যে কত টাকা আছে সে নিজেও জানেনা। ডঃ রাজ্জাকের প্রভাব খাটিয়ে টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের মহাসচিব হয়ে যান গ্রামের বাড়িতে ১৫ কোটি টাকা খরচ করে বিলাস বহুল আলিশান বাড়ি করেছেন।
৯। ডক্টর রাজ্জাকের আরেক ভাই কায়সারের নামে রয়েছে হাজার বিঘা জমি নিজ এলাকায় সে ভূমিদস্যু ও দখলবাজ নামে পরিচিত। ডক্টর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কায়সারের ভূমি দস্যুতার খবর বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়েছে, মন্ত্রীর ক্ষমতা ব্যবহার করে তার কিছুই হয়নি। ডক্টর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় সকল কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয় করতেন তার এই ভাই কায়সার এর মনোনীত ঠিকাদার কোম্পানিকে দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জনতা ট্রেডিং এবং বনানীর ক্রু ও গ্রুপ সরাসরি কায়সার
১০। এর ব্যাংক একাউন্ট রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ সোনালী ব্যাংক এ টাকা দিয়েছে। ডক্টর রাজ্জাক কৃষিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় কৃষকদের চাষের জন্য রাইস হারভেস্টার দেন যার বাজার মূল্য ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার কম সেইসব যন্ত্রাংশ এসিআই কোম্পানির মাধ্যমে ৩৭ লক্ষ টাকা করে ক্রয় করেছেন আবার একই মেশিন বারবার বিক্রি দেখিয়েছেন ডক্টর রাজ্জাকের এহেন লুটপাট এর খবর সমকাল পত্রিকা সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল মন্ত্রী থাকার কারণে সব তদন্ত থেমে যায় উক্ত কৃষি মন্ত্রণালয়ের লুটপাটের টাকাগুলো এসিআই কোম্পানি ডলার করে আমেরিকায় তার ভাইয়ের কাছে দিয়ে আসে বলে বিশ্বস্থ সুত্রে জানা যায়।
১১। ডক্টর রাজ্জাকের আরেক খালাতো ভাই রিপন ১৫ বছর আগে ঠেলাগাড়ি চালাইতো সে এখন শত শত কোটি টাকার মালিক ডক্টর রাজ্জাকের বদলতে।
১২। ডক্টর রাজ্জাকের ব্যক্তিগত সহকারি মাসুদ দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন সে অস্ট্রেলিয়াতে বাড়ি ক্রয় করেছেন। মাসুদের দুর্নীতির বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় খবর প্রকাশ হয়েছে। ইতিপূর্বে মাসুদের স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির কারণে সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমন মামলা করেছিলেন কিন্তু ডক্টর রাজ্জাক মন্ত্রীর ক্ষমতা বলে ।
১৩। মামলাটির তৎকালীন আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের মাধ্যমে খারিজ করে দেন। ডক্টর রাজ্জাকের ক্ষমতা বলে মধুপুরের সাবেক মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, আনোয়ার হোসেন (বিএনপি নেতা), ছাত্রলীগের সেক্রেটারি ইশতিয়াক আহমেদ সজিব, যুবলীগের যুগগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন শিমুল, মধুপুর কে এক সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেন। সাধারণ মানুষের জমি দখল, বাড়ি দখল, পুকুর দখল, ইয়াবা, মাদক সহ সকল অবৈধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত ছিল। ইয়াবা চালান
সরবরাহ করার জন্য মধুপুর কে মাদকের ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করত। সিদ্দিক হোসেন খান।