দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

একজন মানবিক পুলিশ ইন্সপেক্টর ইদ্রিস আলীর গল্প

0

এস.এম  আব্দুর রাজ্জাক:

প্রাচীন কালে পুলিশের সৃষ্টি হয়ে ছিলো খাজনা আদায়ের জন্য। যার কারনে প্রাচীন কালে পুলিশ মানুষের গাঢ় ধরে সরকারের খাজনা আদায় করে দিত জনগনের কাছ থেকে।.

সময়ের পরিক্রমায় সেই পুলিশ আস্তে আস্তে হলেও যথেষ্ট জনবান্ধন পুলিশে পরিণত হয়েছে।

সেই ব্রিটিশ আমল থেকে পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে যে ধারণা বাসা বেঁধেছিল, তা খুব সুখকর নয়। প্রথাগত পুলিশিং নিয়ে জনমানসে মোটা দাগে যে ধারণা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে সাধারণ মানুষের কাতার থেকে পুলিশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।

জনসেবায় পুলিশের মনোজগতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, আড্ডাবাজ ও মানবিক ছেলে-মেয়েগুলো দলেদলে এই বাহিনীতে যোগ দিচ্ছেন। সুতরাং পুলিশে গুণগত পরিবর্তন এখন সাদাচোখেও দৃশ্যমান, যদিও যথেষ্ট ব্যতিক্রম রয়েছে এবং ব্যতিক্রম সবসময় উদাহরণও নয়।আজ আপনি ৯৯৯ এ ফ্রি ডায়াল করলেই পুলিশ আপনার দরজায় গিয়ে হাজির হচ্ছে। আপনি গহীন অরণ্য বা মাঝ নদীতে কোনো সমস্যায় পড়ে জাস্ট একটা কল করলেই আপনার পাশে পৌঁছে যাচ্ছেন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা।

কিন্তু গত এক-দেড় দশকে পুলিশ সম্পর্কিত জনধারণা অনেকখানিই বদলে গেছে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’—এ কথাটি এখন আর নেহাতই কেতাবি কথা নয়। বাস্তবিকই পুলিশ জনগণের বন্ধু হয়ে উঠছে। তার প্রমাণ টাংগাইলের ধনবাড়ী থানার পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মো:ইদ্রিস আলী। পুলিশ যে জনগণের বন্ধু,আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে কাজ করার পাশাপাশি তারাও যে মানবিক কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে নেই,অনেকে তা স্বীকারে নারাজ। দু-একজনের অপকর্মে পুরো পুলিশ বাহিনীকে সমালোচনায় বিদ্ধ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। তবে পুলিশ বিভাগে রয়েছে হাজারো পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মোঃ ইদ্রিস আলী‘র মতো মানবিক পুলিশ সদস্যরা।

এ যুগান্তকারী ধনবাড়ী থানা কে পরিবর্তনের অন্যতম ব্যক্তি পুলিশ ইন্সপেক্টর মো: ইদ্রিস আলী। একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি  একেবারে প্রান্তবর্তী জনগোষ্ঠীকে উত্তরণের পথে নিয়ে আসা এ মানুষটি  টাংগাইলের ধনবাড়ী থানায় ২০২১ সালে পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত) হিসাবে যোগদান করেন। পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য একটি বড় খুশির খবর ছিল পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মোঃ ইদ্রিস আলী‘র ।

পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মো: ইদ্রিস আলী প্রতিটি অভিনব কাজ স্বীকৃত দিয়েছেন  টাংগাইল জেলা পুলিশ ও ধনবাড়ী থানার সাধারণ মানুষ। পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মো: ইদ্রিস আলী টাংগাইলের ধনবাড়ী থানায় যোগদান করার পর থেকে মানবিক সেবা প্রদান করে সর্ব মহলে প্রশংসিত হয়েছেন। তার কাছে আসা সাধারণ মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। সবসময় ন্যায়ের পক্ষে তার শক্ত অবস্থান।
তার এমন আচরণে ধনবাড়ী উপজেলার সর্বসাধারন মানুষ খুশি।
সরেজমিনে গিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধনবাড়ী থানায় পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত) মো: ইদ্রিস আলী যোগদানের পর থেকে আইন- শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে ছুটে বেড়ান থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়াও বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষকে নিয়ে মাদক, সচেতনতামূলক বিট পুলিশিং এর ব্যবস্থা করে থাকেন।

সেবা নিতে আসা একাধিক ব্যক্তি জানান, পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মো:ইদ্রিস আলী‘র ব্যবহার, আচরণই বলে দেয় তিনি সত্যিকারের একজন সাদা মনের মানুষ ও মানবিক পুলিশ।

একাধিক জনসাধারণ মানুষ জানান,পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মো:ইদ্রিস আলী থানায় যোগদানের পরই খুব সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করছেন।

যিনি নিজেকে কখনও পুলিশ হিসাবে নয়, জনগণের একজন সেবক হিসাবে মনে করেন। ২০১১ সালে পুলিশে যোগদান করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করেন।

একজন মানবিক দায়িত্বশীল পুলিশ অফিসারের যে সকল গুন থাকা প্রয়োজন সেগুলো পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মো:ইদ্রিস আলী‘র মধ্যে সেই গুন গুলো বিদ্যমান আছে।  সোনা যাচ্ছে তিনি ধনবাড়ী থানা থেকে অন্য থানায় দায়িত্ব নিয়ে চলে যাচ্ছে। তবে ধনবাড়ী উপজেলার ও থানার এলাকারবাসীর মনে করেন তিনি ধনবাড়ী উপজেলার একজন সন্তান। আর তার বিদায়ের খবর শুনলে হয়তো বা মনে মনে কষ্ট পাবে। পুলিশ ইন্সপেক্টর(তদন্ত)মো:ইদ্রিস আলীর সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন,‘পুলিশ জনগণের বন্ধু, পুলিশ পরিচয়ের আগে আমি একজন মানুষ, মানুষ মানুষের জন্যই, প্রকৃত মানুষ কখনো অপর মানুষের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে পারে না।মানবতা যেখানে গুমরে গুমরে কাঁদছে সেখান থেকে কেউ সরে দাড়াতে পারে না,নিজের মানবিকতা বোধ থেকেই কাজগুলো করি। মানুষের অতি আপনজন হওয়ার চেষ্টা করি। মানুষের সন্তুষ্টিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। আমি বিশ্বাস করি আমার কাজের পুরষ্কার আমাকে স্বয়ং আল্লাহ দিবেন,আপনাদের কাছে দোয়া চাই,আল্লাহ যেন আমাকে মানুষের সেবা করার বেশী বেশী সুযোগ করে দেন”। টাংগাইলের ধনবাড়ী থানায় আছি বেশ কিছু দিন হয়ে গেছে
ধনবাড়ী থানা তথা ধনবাড়ী উপজেলার সকল স্থরের মানুষের কথা সারাটি জীবন মনে রাখবো। তারা আমাকে কথনো পুলিশ হিসাবে না দেখে নিজেদের ভাই,বাতিজা,সন্তান মনে করতো।এটাই আমার জীবরে বড় পাওয়া। আমি চেষ্টা করেছি ধনবাড়ী থানার সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার। জানি না কতটুকু পেরেছি।তবে আমি যত দিন থানায় আছি সকল শ্রেনীর মানুষের সেবা করে যাব।আমি সকলের কাছে দোয়া চাই। মহান আল্লাহ সকলে ভালো রাখুন।

Leave A Reply

Your email address will not be published.