দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

ধনবাড়ীতে পরকিয়া প্রেমিককে না পেয়ে গলায় রশি দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যার চেষ্টা

0

ধনবাড়ী (টাংগাইল)সংবাদদাতা:

টাংগাইলের ধনবাড়ীতে  পরকিয়া প্রেমিককে না পেয়ে গলায় রশি দিয়ে গৃহবধুর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আত্মহত্যার চেষ্টা করি গৃহবধুর বলেন, আমি জাহাঙ্গীরকে ছাড়া বাঁচবো না, মরে গেলেও আর  আগের স্বামী স্বপনের ঘর করব না’ বলে প্রেমের যন্ত্রনায় পাগলের মত মুখে শুধু জবছেন এই কথাগুলো। এমন ঘটনাটি ঘটেছে টাংগাইলের ধনবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসা নিতে আসা ৩৫ বছরের এক গৃহবধূর। পাশেই বসে পাহারা দিচ্ছে  তার বাবা, মা ও ছেলে। গৃহবধুরটি পরকিয়া প্রেমিককের জন্য পাগল পায়। সে বতর্মানে  ভালোভাবে কথা বলতে পারছেন না বলে তার বাবা মা স্থানীয় সংবাদকর্মীদের জানান।

 

https://fb.watch/jLwez3ajmy/

গৃহবধূটি এক ছেলে সন্তানের মা। বাবা মার পছন্দ করা ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে সংসার করছেন  ২০ বছর। ঘটনাটি ঘটেছে  টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী পৌর শহরের খাদ্য গুদামের পাশে । দৃই জনের  মিলে চা বিক্রি করে চলছিল তাদের সংসার।  স্বামী স্বপনকে চা বিক্রিতে সহযোগীতা করতেন তার স্ত্রী। এতে যা আয় হয়, তা দিয়ে সংসার ভালোই চলছিল তাদের।

 

 

চা বেচার সুবাদে গত দুই বছর পূর্বে স্বপনের সঙ্গে পরিচয় হয়  ধনবাড়ী খাদ্যগুদামের গেইটম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সাথে। জাহাঙ্গীর আলম  দুই সন্তানের বাবা। চা বিক্রয় সুবাদে  জাহাঙ্গীরের সঙ্গে স্বপনের স্ত্রীর মধ্যে অবৈধ ভাব গড়ে ওঠে। একে অপরের ভালা লাগা থেকে শুরু হয় মন দেওয়া-নেওয়া। জাহাঙ্গীর গোপনে চা বিক্রয় কার গৃহবধুর সাথে অবদ্ধ  সর্ম্পক গড়ে তোলে গৃহবধুর সাথে মেলা মেশা।

এমন অবস্থায় পরকিয়া প্রেমিক  মাস খানেক আগে চা বিক্রিতা গৃহবধূকে বিয়ে না করার কথা বলায় সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে গোপনে জাহাঙ্গীর  চা বিক্রিতা গৃহবধুকে  নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। কিছু দিন পর তারা বাড়িতে ফেরত আসে। ঢাকা থেকে ফেরার পর পরকিয়া প্রেমিক জাহাঙ্গীর তার মোবাইল বন্ধ রেখে গৃহবধুটির সাথে যোগাযোগ বন্ধ করার কারনে পরকিয়া প্রেমিক জাহাঙ্গীর কে না পেয়ে গৃহবধূটি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে । খাওয়া দাওয়া না করার কারনে অসুস্থ হয়ে সে কাউকে  চিনতে পারে না। এমন অবস্থায় পরিবারের লোকজন ধনবাড়ী  হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় গৃহবধূটি বারবারই বলছে, ‘আমি জাহাঙ্গীরকে ছাড়া বাঁচবো না, মরে গেলেও আর স্বপনের ঘর করব না’। আমার বাবার সর্বনাশ করে দিয়েছে। জাহাঙ্গীরের বিচার চাই।

 

https://fb.watch/jLwez3ajmy/

পরকিয়া প্রেমিকজাহাঙ্গীর আলম ধনবাড়ী উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বাঐজান গ্রামের খলিলুর রহমান ওরফে মুরগী খলিলের ছেলে বলে স্থানীয় ভাবে জানাযায়। জাহাঙ্গীর আলমের বাবা মুরগী খলিল স্থানীয় ওয়ার্ড আয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে রয়েছেন বলে একাদিক সূত্রে জানাযায়। অপর দিকে চা বিক্রিতা গৃহবধূর পর্বের স্বামী স্বপন মিয়া  ধনবাড়ী পৌর শহরে নিজবর্ণি গ্রামে শ্বশুরবাড়ীতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করেন।

এ দিকে, জাহাঙ্গীর সরকারি চাকরি করায় বিষয়টি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় কতিপয় কিছু মাতাব্বরা ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে বলে স্থানীয় ভাবে প্রকাশ হয়েছে । বিষয়টি নিয়ে আলোচনা সমাআলোচনার সৃষ্ট হয়েছে।

গৃহবধূর স্বামী স্বপন মিয়া বলেন, ‘জাহাঙ্গীর আমার পরিবারকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। জানাযায় জাহাঙ্গীর এখন পলাতক রয়েছে। গৃহবধূর স্বামী স্বপন মিয়া বলেন,  আমি ধনবাড়ী থানায় গিয়ে পুলিশ ও পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকলকে জানিয়েছি।’

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে জাহাঙ্গীরকে পাওয়া যায়নি। ধনবাড়ী পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকল বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে গৃহবধূ নারীকে দেখতে গিয়েছিলাম। গৃহবধূ নারীর অবস্থা তেমন ভালো না। দ্রুত তার উন্নত চিকিৎসা করা প্রয়োজন।’

ধনবাড়ী থানার ওসি এইচএম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ভুক্তভোগী পরিবার মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছে। তারা লিখিত অভিযোগ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.