মো.দুলাল হোসেন রাজু,জৈন্তাপুর(সিলেট)প্রতিনিধি: সিলেটের জৈন্তাপুরে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের পৃথক-পৃথক অভিযানে চোরাই পথে আসা ভারতীয় ১২টি মহিষ ও ৩৮ বস্তা চিনিসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়েছে ।প্রত্যেক্ষদর্শী ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়,১৪আগস্ট সোমবার রাত দেড় টায় জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং লক্ষীপুর স্কুল সংলগ্ন এলাকার লোকজন চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে এসময় ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ১২টি মহিষ আটক করে, জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস আই মুহিবুর রহমানের নের্তৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটককৃত ১২টি মহিষ জব্ধ করে জৈন্তাপুর মডেল থানায় নিয়ে যায়। এদিকে চোরাচালান রোধ ও মাদকের বিরুদ্ধে সিলেট জেলা পুলিশের জিরো টলারেন্স ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষে সম্প্রতি সময়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের কয়েকটি অভিযানিক দল সন্ধ্যা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চোরাচালান’র নিরাপদ রাস্তা গুলোতে অবস্থান করে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষ,চিনি,কসমেট্রিকস,বিড়ি,ফেন্সীডিল,মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী জব্ধ ও চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ বেশ সুনাম অর্জন করেছে। জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের এমন সফলতা ধরে রাখতে আগামী দিন গুলোতে তাদের সাড়ঁশী অভিযান চলমান থাকবে এমন প্রত্যাশা সচেতন মহলের।সম্প্রতি সময়ে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের কর্মকান্ড প্রশংসনীয়। কিন্তু সীমান্তে নিয়োজিত বাংলাদেশ বডারগার্ড (বিজিবি’র)কর্মকান্ড নিয়ে মানুষের আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই।বিভিন্ন স্থানে বিজিবি’র সদস্যরা চোরাকারবারীদেরে আটক না করে বরং সহয়তা করছে,এর বিনিময়ে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসুহারা আদায় করছে এমন গুঞ্জনও শোনা যাচ্ছে।এদিকে
১৪ আগষ্ট সোমবার ভোর ৫ টার দিকে জৈন্তাপুর মডেল থানার এস আই,মির্জা মো.সাফায়েত’র নের্তৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ পুলিশ এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনার সময় জৈন্তাপুর উপজেলার ২নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নের শেওলার টুক এলাকা সংলগ্ন নলজুরী খালের উপর থেকে ভারত থেকে চোরাই পথে আসা ৩৮ বস্তা চিনিসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নেকৈা আটক করেন। এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন,সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় চোরাচালান বন্ধে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে চোরাই পথে আসা ভারতীয় পণ্য সামগ্রী জব্ধ করি। ইতুমধ্যে এর সাথে জড়িত কয়েক জনকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। আজ আমাদের পৃথক-পৃথক দুইটি অভিযানে ১২টি ভারতীয় মহিষ এবং ৩৮ বস্তা চিনিসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।