আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ‘কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এর দ্বিতীয় আসর। চলবে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। কলকাতায় ‘পূর্বাঞ্চলীয় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিস অব ইন্ডিয়া’র উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই চলচ্চিত্র উৎসব।
এবারের আসরে দেখানো হবে বাংলাদেশের তিনটি সিনেমা। সেগুলো হলো- খন্দকার সুমন পরিচালিত ‘সাঁতাও’, নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতাল ঘর’ এবং সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’। সিনেমা দেখার সুযোগ পাবেন কলকাতার সিনেমাপ্রেমীরা।
‘ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিস অব ইন্ডিয়া’র ভাইস চেয়ারম্যান প্রেমেন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘বিশ্ব চলচ্চিত্রে দিনদিন বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপুর্ণ স্থান তৈরি করে নিচ্ছে। তাই পৃথিবীর নানা মর্যাদাপুর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের একাধিক চলচ্চিত্রের অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
‘সাঁতাও’ সিনেমার পরিচালক খন্দকার সুমন বলেন, ‘পুর্বাঞ্চলীয় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিস অব ইন্ডিয়া’র উদ্যোগে আয়োজিত এই বিশুদ্ধ চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের একাধিক সিনেমা দেখা যাবে। এটা খুবই গর্বের বিষয়। এটাই জানান দিচ্ছে যে, বিশ্ব চলচ্চিত্রে বাংলাদেশের সিনেমা ক্রমশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।’
উল্লেখ্য, ‘সাঁতাও’ সিনেমাটি রাশিয়ার ১৯তম কাজান আন্তর্জাতিক মুসলিম চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়েছে। ‘২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’-এ বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র হিসাবে চিহ্নিত হয় এই সিনেমা।
‘সাঁতাও’ দেশের সিনেমা হলে তা মুক্তি পেয়েছিল গত ২৭ জানুয়ারি। এরপর গত মার্চ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এই সিনেমার বিশেষ এবং বিকল্প প্রদর্শনী হয়েছে। সাধারণ মানুষের অর্থে তৈরি করা হয় ‘সাঁতাও’।
এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সাবেরা ইয়াসমিন, স্বাক্ষ্য শাহীদ, শ্রাবণী দাস রিমি, তাসমিতা শিমু, মিতু সরকার, ফারুক শিয়ার চিনু, আফ্রিনা বুলবুল, রুবল লোদী, কামরুজ্জামান রাব্বীরা।
এদিকে, গত ২৭ জুলাই ‘চরকি’তে মুক্তি পেয়েছে ‘পাতালঘর’ সিনেমাটি। নূর ইমরান মিঠু পরিচালিত এই সিনেমাতে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া, আফসানা মিমি, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দিন খান, রওনক হাসান, দীপান্বিতা মার্টিন, নাজিয়া হক অর্ষা, সালাউদ্দিন লাভলু, মৌটুসি বিশ্বাস, এরফান মৃধা শিবলু, মামুনুল হক, হাসনাত রিপন।
এরইমধ্যে ‘পাতালঘর’ ভারতের কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে উৎসবে অংশ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছে। গত বছর গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৫৩তম আসরে প্রদর্শিত হয় এই সিনেমা। এছাড়া বেঙ্গালুরু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান বিভাগে প্রতিযোগিতাতেও অংশগ্রহণ করে।
অন্যদিকে, খুলনার দক্ষিণাঞ্চলের একটি গ্রামের কয়েকটি চরিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে নিগার বানুর ‘নোনা পানি’ সিনেমাটি। এর কাহিনি বিন্যস্ত হয়েছে বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে সেখানকার বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে।