দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

দুইবার বিমুখ হয়েছেন! ফের কি আ.লীগের মনোনয়ন চাইবেন নায়ক ফেরদৌস?

0

বিনোদন প্রতিবেদক,

বিনোদন জগতের তারকাদের রাজনীতিতে প্রবেশের নজির নতুন নয়। বাংলাদেশেও অনেকে শিল্পচর্চার পাশাপাশি রাজনীতি করছেন। এমপি, মন্ত্রী হয়ে দেশসেবাও করছেন অনেকে। ‘বাকের ভাই’ খ্যাত আসাদুজ্জামান নূর, তারানা হালিম, সুবর্ণা মুস্তাফা, গায়িকা মমতাজ, প্রয়াত চিত্রনায়ক ফারুকসহ তালিকায় আছে আরও নাম।

এই তালিকায় নিজের নামটি তোলার জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা চালাচ্ছেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস। বহুদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। দলটির নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় সবসময়ই তার দেখা মেলে। দলে তার একটি পদও রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপকমিটির একজন সদস্য ফেরদৌস।

তবে শুধু পদ থাকলেই তো হলো না, এর বাইরে দলের ব্যানারে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী হওয়ার খায়েশও থাকে রাজনীতিকদের। একই ইচ্ছা রয়েছে নায়ক ফেরদৌসেরও। আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য হওয়ার লক্ষ্য তার বহুদিনের। দুইবার মনোনয়নও চেয়েছিলেন। কিন্তু দুইবারই তাকে বিমুখ করা হয়েছে দল থেকে।

ফেরদৌসের জন্ম কুমিল্লায় হলেও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-৩ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি। যশোর সদর এলাকায় ফেরদৌসের শ্বশুরবাড়ি। তার শ্বশুর মরহুম আলী রেজা রাজু যশোর জেলা আওয়ামী লীগের প্রাক্তন সভাপতি এবং এই আসনের সাংসদও ছিলেন।

শ্বশুরের পরিবর্তে ২০১৮ সালে যশোর-৩ থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তারকা জামাই ফেরদৌস। কিন্তু সে বার এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো সংকেতই পাননি তিনি। তাই মনোনয়নও তোলেননি। তবে চলতি বছরে ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে একধাপ এগিয়ে মনোনয়ন কেনেন ফেরদৌস। কিন্তু এবারও বিমুখ হতে হয় নায়ককে।

গত ১৫ মে ঢাকা-১৭’র সংসদ সদস্য নায়ক ফারুকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। সেটির উপনির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হয় গত ১৭ জুলাই। এই আসনে প্রার্থী হতে শুধু আওয়ামী লীগ থেকেই মনোনয়ন কিনেছিলেন ফেরদৌসসহ ২২ জন! শেষপর্যন্ত মনোনয়ন পান মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি নির্বাচনে জয় লাভও করেছেন।

অন্যদিকে, দুইবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে দুইবারই বিমুখ হয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনে কি ফের দলের মনোনয়ন চাইবেন একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা ফেরদৌস? প্রার্থী হবেন? সদ্য দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে এমনই প্রশ্ন এসেছিল তার কাছে। কী বললেন তিনি?

ফেরদৌস বলেন, ‘আমি একটি বড় দলের হয়ে কাজ করছি দীর্ঘদিন। এটি অনেকেই জানেন। আমাদের দলের নেত্রী যদি নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দেন, অবশ্যই প্রার্থী হবো। যদি দলের হয়ে কাজ করতে বলেন তাই করব। আওয়ামী লীগে এসেছি প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে। তাঁর হাত শক্তিশালী করতে চাই। শুধু পর্দায় নয়, মাঠেও নায়ক হতে চাই।’

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও নায়ক ফেরদৌস যে দলটির একনিষ্ঠ কর্মী, সে প্রমাণ তিনি বারবারই দিয়েছেন। দেশের যে জেলাতেই নির্বাচন হোক না কেন, সেখানেই দলবল নিয়ে পৌঁছে যান তিনি। প্রচারণা চালান আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে। ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে আরাফাতের পক্ষেও তিনি প্রচারণা চালান।

শুধু তাই নয়, একাধিক বার ফেরদৌস এবং আরেক জনপ্রিয় চিত্রনায়ক রিয়াজ প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সফরসঙ্গীও হয়েছেন। তাই ফেরদৌসের বিশ্বাস, আজ হোক বা কাল, দল তার কাজের মূল্যায়ন করবেই। সে সময় নিশ্চয়ই পূরণ হবে তার সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন। সেই দিনের অপেক্ষায় ‘হঠাৎ বৃষ্টি’র নায়ক।

Leave A Reply

Your email address will not be published.