সাইফুল ইসলাম: বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যেক নাগরিকের দ্রুত বিচার পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার। দ্রুত বিচার পাওয়া যেমন সাংবিধানিক অধিকার তেমনি দ্রুত বিচার প্রদান করা বিচারপতিদের নৈতিকতার কাজ। তাই বিচার থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় সেদিকে নজর রাখা আহবান জানান।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১টায় বান্দরবান জেলা দায়রা ও জজ আদালত চত্বরে ন্যায়কুঞ্জ বিশ্রামাগার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে বিচার চাওয়া-পাওয়ার আশায় আদালতে ছুটে আসেন অনেক মানুষ। যার ফলে সাধারণ মানুষ ও বিচারপতিদের ক্লান্তি দূর করতে দেশের প্রতিটি জেলায় আদালতের প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ নামে বিশ্রামাগারটি স্থাপন করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের পারিবারিক আদালত স্থাপনের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, এ বিষয়ে সরকারের নজর আছে। কিছুটা বিচারক সংকট ও আদালত ভবনের প্রসার হলে সম্ভব হবে। শুধু পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নয় এই অভিযোগটি রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতেও রয়েছে। তারপরও সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে বহুতল বিশিষ্ট ভবন সিজেন বোর্ড বিভিন্ন স্থানে তৈরি হয়েছে সে’সব ভবনে ইনকোয়ারি হচ্ছে। আশাকরি আগামী দিনগুলোতে সারাদেশে যখন ভবন নির্মান সম্পন্ন হয়ে যাবে তখন আর বিচারকদের সংকট হবে নাহ। আগামীতে বিচারকের সংকট অচিরেই কেটে যাবে বলে আশা করছি।
এসময় গণপূর্ত অধিদপ্তর অর্থায়নে সাড়ে ৫১ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বিচারপ্রার্থী-বিশ্রামাগার ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন নির্মাণের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
অনুষ্ঠানে জেলা দায়রা ও জজ আদালতে বিচারক ফজলে এলাহি ভূইয়া, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এবং শিশু আদালতের বিচারক জেবুন্নাহার আয়শা, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বিচারক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, গণপূর্ত অধিদফতর বিভাগে প্রকৌশলী ফয়েজুর রহমানসহ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।