গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্ধ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ ও মাদরাসায় অনুপস্থিত থাকাসহ নানান অনিয়মের অভিযোগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার চর চতিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে শনিবার সকাল ১০টায় মাদরাসার হলরুমে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে মাদরাসার গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনসহ চতিলা, বিলডগা, বনমালী, জোতবাগল, চক্কাশী গ্রামের শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গত ৭জুলাই থেকে শনিবার ৭সেপ্টেম্বর গণশুনানির আগ পর্যন্ত মাদরাসার হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি।
এ সময় মাদরাসায় উপাদক্ষ পদে চাকরি প্রত্যাশী চাতুটিয়া গ্রামের মুরতুজা, আজগড়া গ্রামের এনামুল হক এবং গ্রন্থাগার পদে চাঁনপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম দাবি করেন ৩জনের থেকে মাদরাসা উন্নয়ন ফান্ডের মোট ১৭লাখ ৮০হাজার টাকা নিয়েছেন অধ্যক্ষ। চাকরি বা টাকা ফেরত কোনটাই দেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন তারা।
এছাড়াও মাদরাসায় নিয়োগপ্রাপ্ত উপাদক্ষ আ. হাই ৯লাখ টাকা, আয়া পদে খাদিজা খাতুন ৬লাখ ৮৫হাজার টাকা, নিরাপত্তা প্রহরী পদে রিফাত ৮লাখ টাকা, নৈশ প্রহরী পদে ঠান্ডু ৬লাখ টাকা অধ্যক্ষ এবং গভর্নিং বডির একাধিক সদস্যকে দেয়ার দাবি করেন তারা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টিউশন ফি, মাদরাসার মাঠে গাছ বিক্রির টাকাসহ, বিভিন্ন খাতে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠে গণশুনানিতে।
মাদরাসার সাবেক সভাপতি ডা. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। তার বিরুদ্ধে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি অর্থ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এখানে অর্থ আত্মসাৎ ও বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। বিশেষ করে নিয়োগ বাণিজ্যে, একজন নিয়োগের বিপরীতে একাধিক মানুষের থেকে টাকা নিয়ে প্রিন্সিপাল তার সহযোগীদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে গণশুনানিতে অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম, গাছ বিক্রি ও এতো টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, কিছু টাকা নিয়ে মাদরাসার উন্নয়নের কাজে লাগানো হয়। কমিটির সাবেক সদস্যদের নোটিশ করা হবে, তারা আসলে হিসাব নিকাশ করে সব পরিষ্কার করবো।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হায়দার বলেন, ঔ মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।