দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা পড়েছে রোয়াংছড়ি

0

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হিন্দু ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর মন্ডপে স্থানীয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কর্তৃক প্রত্যক্ষ পূজা পূর্ববর্তী প্রস্তুতি সহ অনারম্বর জাঁকজমকপূর্ণ এ উৎসব অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে. এছাড়াও এ এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে স্থানীয় উপজেলার subzone কমান্ডার মেজর ইয়াসিন কর্তৃ ক কর্তৃক ইতিপূর্বে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন সহ সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশ বিজিবি মোতায়েনসহ স্থানীয় গ্রাম পুলিশ আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন!
এরই ধারাবাহিকতায় আজকে সপ্তমীতে রুয়ায়ানছড়ি subzone কমান্ডার মেজর ইয়াসিন সহ উপজেলার অন্যান্য স্থানীয় কর্মকর্তা , নেতৃবৃন্দ সহ পূজা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নগদ ১৫ হাজার টাকা ও ৫ কেজি মিষ্টি ও জিলাপি বিতরণ করা হয়. এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আজ বিকেল ৪টায় থেকে ৫টায় ঘটিকা পর্যন্ত রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্প কর্তৃক বিএ-৯৪৬৬ মেজর ইয়াছিন আজিজ (৫ইবি, বান্দরবান জোন) স্যারের নেতৃত্বে ১×বি টাইপ দল সনাতন ধর্মাম্বলীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন বাজারস্থ রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় হরি ও শ্যামা মন্দির পরিদর্শন করেন এবং দূর্গা পূজা উপলক্ষে মন্দিরে নগদ ১৫০০০/= টাকা (পনেরো হাজার টাকা) আর্থিক অনুদান ও একটি মিষ্টি ডালা প্রদান করেন। এসময় জনাব মোঃ সাইফুল ইসলাম (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, রোয়াংছড়ি) কর্তৃক রোয়াংছড়ি কেন্দ্রীয় হরি ও শ্যামা মন্দির পরিদর্শন করেন। বর্নিত মন্দিরটি ৫ইবি বান্দরবান জোনের আওতাধীন রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্প হতে ১কিঃমিঃ উত্তর পূর্বে অবস্থিত। যাহার বর্গ ৪১৫৩, এমএস ৮৪বি/৮।
খ। এসময় জনাব মোঃ পারভেজ আলী (অফিসার্স ইনচার্জ, রোয়াংছড়ি থানা), জনাব রকিবুল হাসান (রোয়াংছড়ি উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা), জনাব মেহ্লা আং মারমা (চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়ি সদর ইউপি), জনাব বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যং (চেয়ারম্যান, আলেক্ষ্যং ইউপি), শ্রী নেপাল কান্তি দাশ (সভাপতি, পুজা কমিটি), শ্রী লিটন দত্ত (উপদেষ্টা, পূজা কমিটি), শ্রী রঞ্জিত নাথ (ক্যাশিয়ার, পূজা কমিটি) ও অন্যান্য সহ প্রায় ৩৫/৪০ জন উপস্থিত ছিলেন।
গ। এসময় রোয়াংছড়ি আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মহোদয় কর্তৃক পূজা চলাকালীন সময়ে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন!
সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ উপস্থিতি সহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এ তিন স্তরের যে নিরাপত্তা বলয় গ্রহণ করা হয়েছে তাতে জনমনে প্রশান্তিসহ সংখ্যালঘুদের এ ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনে অত্যন্ত আনন্দের প্রতিফলন ঘটেছে বলে সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করে. এ সময় পূজা কমিটির সভাপতি দীপক কুমার পালের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে সার্বিক সহায়তা সহ নগদ অর্থ সহায়তা পাওয়ায় পূজা অনুষ্ঠান আরও জাঁকজমকপূর্ণ হবে বলে আশা করা যায়. সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠান সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলে ও জাঁকজমকপূর্ণ করে তোলার উদ্দেশ্যে সেনাবাহিনীর পক্ষ হতে যে সরব উপস্থিতি রয়েছে তা দশমী পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে. ক্যাম কমান্ডার এ সময় আরো বলেন প্রতিটি ধর্মের ন্যায় প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেনাবাহিনী একটি গৌরবের জায়গা তার প্রত্যকে উপস্থিতিতে প্রত্যেক সম্প্রদায়ের প্রত্যেক ধর্মীয় অনুভূতি সহ অনুষ্ঠান আয়োজনে সবসময় এর নাই এবারও সার্বিক আয়োজনে কোন ত্রুটি রাখেনি!

Leave A Reply

Your email address will not be published.