নিজস্ব প্রতিনিধিঃ শিক্ষার্থীদের করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে রাখতে সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলেও মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর ও বিভিন্ন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিভুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিদের্শনাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে, উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ: রহিম এর ছত্র ছায়ায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখে, স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে এসব শিক্ষকরা দলবদ্ধভাবে বাসায় অথবা কোচিং সেন্টারে সকাল—সন্ধ্যা চালিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের কোচিং ব্যবসা। এ দিকে শিক্ষহকদের অবাধ কোচিং বাণিজ্য অব্যাহত থাকলেও অজ্ঞাত কারণে স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকার অভিযোগ উঠেছে।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মতলব দক্ষিন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রহিম এর দীর্ঘদিনের গাফলিুতে কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রমরমা কোচিং বাণিজ্য চালাচ্ছে । কেবল মতলব দক্ষিন মতলব সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ১। পলি আক্তার মতলব গার্লস বিদ্যালয়ের ২। মনির হোসেন ৩। কামাল মাষ্টার (৪) নায়েরগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সহালোম বিএসসি ও সহকারী প্রধান শিক্ষক (৫) আলমগীর হোসেন(৬) নারায়ণপুর বয়েজ উচ্চ বিদ্যালয়ের শাহ আলম মাস্টার (৭) কাচিয়ারা গার্লস উচ্চ বিদ্যালয় বিএসসি (৮) বোয়ালিয়া গার্লস গং সদর ও বিভিন্ন অঞ্চল গুলোতে কোচিং ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রায় অধিকাংশ শিক্ষক। তারা পৌর এলাকার ঘোষ পাড়া , মহিলা কলেজ সঙ্গে, মতলব ডিগ্রি কলেজের আশেপাশে, মধ্য কলাদি , আদর্শ স্কুল সংলগ্ন নিজ বসত বাড়ীতে ঘরে উঠেছে মিনি স্কুল এবং মিনি স্কুলের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের নামে আদায় করছেন প্রতি মাসে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে। এ ছাড়া সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে যে, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নিয়মিত ভাবে অন—লাইন ক্লাশ করার জন্য। কিন্তু অনলাইন ক্লাশ না করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কোচিং বানিজ্য নিয়ে ব্যস্ত দেখা গেছে।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা মাধ্যমিক অফিসার আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী মোবাইল ফোনে জানান, এ ধরনের কোন এমপিও ভুক্ত শিক্ষক সরকারি বিধি মালাকে বৃদ্ধাগুল দেখিয়ে অনৈতিক কোচিং বানিজ্যের সাথে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।