বরগুনার গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার ও সহকারি শিক্ষিকা তার স্ত্রীর উপর হামলা ও শ্লীলতাহানীর ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আনোয়ার হোসেন পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার দিকে মোকছেদপুর বাজার থেকে বাবুগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ গ্রেফতার করেন।
বরগুনা সদর থানায় দায়েরকৃত মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনা ঘটায় আনোয়ার হোসেন। প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাসার নামক একজনকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিলে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন মোঃ আনোয়ার হোসেন । মোঃ আবুল বাশারকে সরানোর জন্য নানাভাবে ষড়যন্ত্র করতে থাকেন।
স্কুলে যোগদানের প্রথম দিনই আনোয়ার হোসেন তার লাঠিয়াল বাহিনী দিয়ে হুমকি ধমকি, অকথ্য গালিগালাজসহ মারধরের চেষ্টা করে। আবুল বাসার যাতে ওই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে না পারেন। সেজন্য আনোয়ার হোসেন নিয়োগ বাতিলের জন্য বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা খারিজ হলে আনোয়ার আরো ক্ষিপ্ত হন।
তারা আরো বলেন, ৬ জুলাই প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজে আসার পথে আনোয়ার বাহিনী গতিপথ করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। পরে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সহায়তায় তিনি বাড়ি ফিরেন। ৭ জুলাই যথারীতি গর্জনবুনিয়া স্কুল এন্ড কলেজে আসলে বেলা ১১টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আনোয়ার বাহিনী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুনরায় পথরোধ করে।
সেখানে প্রধান শিক্ষক আবুল বাসার ও তার স্ত্রী মেহেরুননেছাকে বেদম মারধর করেন। হামলাকারীরা মেহেরুন নেছার কাপড় চোপর খুলে ফেলে এবং শ্লীলতাহানী ঘটায়। হামলাকারীরা মেহেরুননেছার স্বর্ণাঙ্কার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এব্যাপারে ৬জনকে আসামী করে বরগুনা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মোকসেদপুর বাজারে এ হামলা ও শ্লীলতাহানীর মূল হোতা আনোয়ার হোসেনকে বাবুগঞ্জ ফাঁরির পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় আনোয়ার বাহিনীর সদস্যরা আসামী ছিনিয়ে রাখার জন্য অপচেষ্টা চালায়।
এব্যাপারে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের মারধর মামলায় প্রধান আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।