দফায় দফায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের পূর্ব ঘোষিত ডাকা সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটেও চলছে পণ্যবাহী ছোট-বড় ট্রাক। শুধু তাই নয়, ট্রাক ছাড়াও উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার বাস চলাচল ছিল অসংখ্য। শুক্রবার বেলা ১০ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিনে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এরআগে ভোর বেলায় যানবাহনের চাপ কম থাকলেও বেলা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে পরিবহন চলাচলের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ।
বঙ্গবন্ধু সেতু রেল স্টেশন ছাড়াও ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড, এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড ও টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাস এমন চিত্রের খবর জানা যায়। এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় থেকে টাঙ্গাইল যাতায়াতকারী আঞ্চলিক বাসগুলো বন্ধ রয়েছে। এরফলে ভূঞাপুর, কালিহাতীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা লোকজন টাঙ্গাইল আসা-যাওয়া করা লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। এ সুযোগে সিএনজি-লেগুনাগুলো মালিক-শ্রমিকরা দ্বিগুন ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায় যাত্রীদের থেকে
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ের বাস পরিবহন শ্রমিকরা জানান, কেন্দ্রীয়ভাবে পূর্বঘোষিত ধর্মঘটের ডাকে সাড়া দিয়ে তারা বাস চলাচল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রেখেছেন। তারা দ্রুত সময়ের মধ্য তেলের দাম কমানোর জোর দাবি জানান। এদিকে, ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড থেকেও সকাল থেকে ছেড়ে যায়নি ঢাকাগামী কোন বাস। তারাকান্দি থেকেও আসেনি কোন বাস। যার কারণে ছুটিতে আসা অনেক ঢাকাগামী যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে। বাস না পেয়ে অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছেন। আবার অনেকেই সিএনজিযোগে কর্মস্থলে ছুটছেন বাড়তি ভাড়ায়।
বঙ্গবন্ধুর সেতু পূর্বপাড়ে আসা বগুড়াগামী ট্রাক চালক আব্দুর রহমান, পাবনাগামী, মো. মহির উদ্দিন ও নাটোর থেকে ছেড়ে আসা গাজীপুরগামী ইসহাক গনী জানান, দফায় দফায় অস্বাভাবিক হারে অযৌক্তিকভাবে তেলের দাম বৃদ্ধি করে পরিবহন খ্যাতকে বিপাকে ফেলেছে। এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি আরেকদিকে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় বাড়ানো হয়েছে। এযেন মরার ওপর খাড়ার ঘা। তেলের দাম বৃদ্ধি না করে আরও কমানোর জোর দাবি করেছেন তারা। এভাবে দিন দিন বাড়লে পরিবহন খরচও বাড়াতে বাধ্য হবে বলে জানান এই শ্রমিকরা।
টাঙ্গাইল জেলা বাস-কোচ ও মিনিবাস মালিক শ্রমিক ইউনিয়নের ভূঞাপুর উপ-কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ জানান, তেলের বৃদ্ধির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারাদেশের মতো ভূঞাপুরেও বাস-ট্রাক বন্ধ রাখা হয়েছে। আমরা চাই তেলের দাম হ্রাস। যদি তেলের দাম না কমানো হয় তাহলে হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য মালিক-শ্রমিকদের এ ধর্মঘট ও বাস চলাচল কার্যক্রম বন্ধসহ অঘোষিত কর্মসূচী চলমান থাকবে। অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার জানান, মহাসড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত বিশৃঙ্খলা এড়াতে থানার পুলিশ সদস্যরা সর্তক রয়েছেন।