
স্টাফ রিপোটার :
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে নৌকা সমর্থকদের হামলা, ভাঙচুর লুটপাটসহ ককটেল ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) মধ্যরাতে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ভাটারাা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান চেয়ারম্যান পদে বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এ বিষয়টি একই ইউনিয়নের আ’লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদল এর সমর্থকরা ওই দিনই রাত ১১টায় নৌকার শ্লোগান দিয়ে ভাটারার খাঁন বাড়ি মোড়ে সমবেত হয়। সেখানে সমিতির ঘর রয়েছে ওই ঘরে হারুন অর রশিদ মাঝে মধ্যে বসেন বলে ওই অফিসে চেয়ার টেবিল ভাংচুর করা হয়। পরে মানিক মিয়ার স-মিলের অফিসে হামলা চাালিয়ে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এ ছাড়াও ওয়াজেদ আলী ও সুমনের মনোহারি দোকান মোতালেব এর ষ্টিলের জানালা ভাংচুর ও নকশী কাথা লুট করে নিয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্থ মোতালেব হোসেন ও তার স্ত্রী ময়না বেগম জানান। পরে তারা ভাটারা পশ্চিমপাড়া মজনু মিয়ার বসত ঘরের দরজা ভাংচুরের চেষ্টা চালিয়ে আতংকের সৃষ্টি করে।
জানতে চাইলে মোতালেব হোসেন এর স্ত্রী ময়না বেগম জানান, হামলাকারীরা ঘরে রক্ষিত নকশি কাঁথার প্রায় ২২ হাজার টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী মানিক মিয়া জানান, আমার স-মিলের অফিস কক্ষে ভাংচুর করার শব্দে স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভয়ে পালিয়ে যাই। এর পরে আমার বসত ঘরে টিনের বেড়া কুপিয়ে তছনছ করেছে।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদলের সমর্থকরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। তিনি আরোও বলেন, তারা ভাটারা উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে গিয়ে গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদল বলেন, হারুন খানের সমর্থকরা লাঠি শোঠা বানিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করার জন্য একটি ঘরে রেখে দেয়। সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ তা উদ্ধার করেছে। আমার সর্মথকরা কোন হামলা ও ভাংচুর করেনি। বরং তারা আমার সর্মথকদের নানা ভয়ভীতি হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মীর রকিবুল হক বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।