দৈনিক নবতান
জনতার সংসদ

BREAKING NEWS

সিলেটের জৈন্তাপুর সীমান্তে চোরাকারবারী সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম বৃদ্ধি

0

মো.দুলাল হোসেন রাজু,জৈন্তাপুর(সিলেট)প্রতিনিধি,

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায়া চোরাকারবারী  সিন্ডিকেট চক্রের দৌরাত্ম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সীমান্তে নিয়োজিত বিজিবি ও স্থানীয় প্রশাসন নিরব থাকার কারণে রাতের অন্ধকারে ভারত থেকে চোরাই পথে নেমে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষ,চিনি,কসমেট্রিকস,নাসিম বিড়ি,মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের পণ্য সামগ্রী।

এই চক্রটি দীর্ঘ দিন থেকে জৈন্তাপুরের আলু বাগান,মোকামপুঞ্জি,শ্রীপুর এলাকায় সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু-মহিষ,চিনি,কসমেট্রিক,নাসিম বিড়ি,নাসির বিড়ি,মাদকদ্রব্যসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের পণ্য সামগ্রী চোরাচালানের নিরাপদ রাস্তা হিসেবে ব্যাবহার করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অপরাধ কর্মকান্ড।

ফলে সীমান্ত

এলাকাটি পরিণত হয়েছে অপরাধী চক্রের স্বর্গরাজ্যে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এর সাথে জড়িত একাধিক লোকজনের দাবি বিজিবি’র সদস্যদের সাথে গোপন চুক্তির ভিওিতে চোরাকারবারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা রাত ৮ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত জৈন্তাপুরের আলু বাগান-ফিসারীর বাধ সংলগ্ন এলাকায় ইঞ্জিন চালিত নৌকা অবন্থান করে,ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহেনী বিএসএফ,র চোখ ফাকি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে প্রবেশ করা ভারতীয় পণ্য সামগ্রী আলু বাগান ফিসারীজ বাধ সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন অন্তত ৩০টি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় চোরাই পথে আসা ভারতীয় চিনি, গরু-মহিষ,বিড়ি,মাদ্রকদ্রব্যসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের পণ্য সামগ্রী লোড করে ডকাবিল হয়ে মুরাবর্ণি বিলের উপর দিয়ে শেওলারটুক এলাকা সংলগ্ন সুইচ গেইট’র পূর্ব পাশে গত ১১ আগষ্ট বৃহ:প্রতিবার ২টার সময় মহি বুঝাই ৫ টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নলজুরী খালের উপর দেখা গেছে। এলাকায় অবৈধ পথে আসা পণ্য সামগ্রী নৌকা থেকে নিরাপদে খালাস করে তাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এর বিনিময়ে চোরাচালান চক্রের সদস্য ইঞ্জিন চালিত নৌকার মালিক প্রতিটি মহিষ ভর্তি নৌকার ভাড়া হিসেবে ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১৫’হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে।চোরাকারবারী সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য ইঞ্জিন চালিত নৌকার মালিক,মনাই বাবু,মানিক মিয়া,আল আমিন বলেন,ভারত থেকে চোরাই পথে আসা অবৈধ পণ্য সামগ্রী,গরু-মহিষ হরিপুরের রফিক চেয়ারম্যানের গত ৪/৫ বছর ধরেই তারা চোরা চালান ব্যাবসায়ীদের কাজ করছেন।  জৈন্তাপুরের সীমন্তা পয়েন্ট গুলোতে চোরা

চালান ব্যবসা অব্যাহত থাকায় গরু-মহিষ,চিনিসহ প্রতিদিন ভারতীয় নিষিদ্ধ পণ্যে সয়লাব হচ্ছে দেশীয় হাটবাজার গুলোতে।সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে নেমে আসছে ভারতীয় বিভিন্ন ব্যান্ডের নিষিদ্ধ পণ্য, এর মধ্যে রয়েছে মেয়াদওীর্ণ  ঔষধ মাদকদ্রব্য,গাজা,আফিম,হেরোইন,ফেনসিডিল,আবার কোন কোন সীমান্ত দিয়ে আসছে চোরাই মোটর সাইকেল,ট্রায়ার,টাটা গাড়ীর যন্ত্রাংশ এবং টাকার

বিনিময়ে নারী শিশু পারাপারের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।উপজেলার মোকাম বাড়ী, শ্রীপুর,মুক্তাপুর,কমলা বাড়ী,যশপুর,লালাখাল,

আলু বাগান এলাকায় চোরাকারবারীদের  নিরাপদ রোড।

সীমান্ত এলাকায় নিয়োজিত বিজিবি’সদস্যরা যথাযথ

দায়িত্ব পালন না করে,প্রতিটি সীমান্তে নিয়োজিত তাদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে  সীমান্তে চোরাকারবারীদের কাছ থেকে নিয়মিত বখরা আদায়ের

অভিযোগও রয়েছে।

এই ব্যাপারে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড-৪৮বিজিবি’ শ্রীপুর

সীমান্ত ফাড়ীর নায়েব সুবেদার মো.রজ্জব আলীর সাথে আলাপ কালে

তিনি জানান চোরাকারবারীদের কাছ থেকে চাদা আদায়ের বিষয়টি সত্য নয়।তাছাড়া চোরাকারবারী চক্রের সাথে জড়িতদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে,আমাদের সীমান্ত ফাড়ী এলাকা থেকে চোরাকারবারীদের চোরাচালানের স্থান’র দুরত্ব বেশি হলে নৌকা কিংবা গাড়ী নিয়ে যেতে হলে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে যেতে হবে।সংশ্লিষ্ট এলাকায় চোরাকারবারীদের ধরতে আমাদের টহল অব্যাহত রয়েছে।

এব্যপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক বলেন,জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় চোরাচালান বন্ধে এবং চোরাকারবারীদের ধরতে প্রতিদিনই আমরা বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ মালামল জব্ধ করেছি এবং এর সাথে জড়িতদের প্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। বর্তমানে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।

জৈন্তাপুরের সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বন্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা নিবেন প্রশাসন এমন প্রত্যাশা এলাকাব

Leave A Reply

Your email address will not be published.